শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট : আঁখি আলমগীর

চাইলেও সস্তা কথার গান করতে পারব না

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ তারকার গাওয়া অনেক গানই রয়েছে শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায়। নিয়মিত মৌলিক গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন জনপ্রিয় এ গায়িকা। স্টেজ শোতেও অনেক ব্যস্ত তিনি। গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

চাইলেও সস্তা কথার গান করতে পারব না

গানে আপনার তিন দশক পূর্ণ হলো জার্নি নিয়ে কিছু বলুন

আসলে একজন শিল্পী হিসেবে তিন দশক দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়াটা নিশ্চয়ই সৌভাগ্যের বিষয়। আমাকে যে মানুষ চেনে, আমার গান ভালোবাসে, জাতীয়ভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছি- এগুলোই বড় পাওয়া। আমার কাছে প্রথম থেকেই ক্যারিয়ারটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। জানি না, কতটুকু পেরেছি। তবে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।

 

রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলো, শিল্পীরা কোনো সমস্যায় পড়ছেন?

আসলে রাজনৈতিক কারণে আমাদের দেশের শিল্পীরা বেশি সাফার করেন। এমনটি পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা যারা পেশাদার শিল্পী আছি, তারা করপোরেট শোয়ের পাশাপাশি অনেক রাজনৈতিক শোও করি বা করতে হয়। এগুলো সম্মানি নিয়েই করা হয়; কিন্তু এসবের কারণে আমাদের শিল্পীদের রাজনৈতিক তকমা দেওয়া হয়। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে আবার ওই শিল্পীদের আর কোনো অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না। শিল্পীরা তো কোনো দলের না। শিল্পী তো সবাইকে গান শোনাবে এটাই স্বাভাবিক।

 

সমাজমাধ্যমে শিল্পীদের কাদা ছোড়াছুড়ি...

এগুলো খুবই দুঃখজনক। এখন যেরকম হয় এগুলো আমি কখনোই দেখিনি। শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর প্রতিযোগিতা সারাজীবন ছিল। রেষারেষি বা কারও সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে। সেটা পাবলিকলি কেন হবে? সেটাকে পাবলিক করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পুঁজি করা, এগুলো তো নোংরামি। প্রকৃত শিল্পীরা এগুলো করেন না। আসলে শিল্পীদের আরও সহনশীল হওয়া উচিত।

 

নতুন দেশে সংগীতাঙ্গনে কোনো পরিবর্তন এসেছে?

কাজ শুরু করতে এখনো কিছুটা সময় দরকার। নতুন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মাত্র দুই মাস হলো। পুরোদমে ফিরতে আরও সময় লাগবে। মানুষ এখনো প্রস্তুত নন।

 

সম্প্রতি বাংলাদেশ বেতারে গাইলেন...

দুই যুগেরও বেশি সময় পর ৬ অক্টোবর বেতারের জন্য গাইলাম। ১৯৯৪ সালে আমি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিবন্ধিত শিল্পী হই। খুব দারুণ একটা সময় পার করেছি। এবার যে গানটি করেছি তার শিরোনাম- ‘ভালোবেসে আর ভুল করব না’। লিখেছেন ফজলুল হক সিদ্দিকী, সুর করেছেন মোহাম্মদ সাদেক।

 

ফের উপস্থাপনা করছেন না কেন?

নতুন ধরনের কোনো অনুষ্ঠান হলে উপস্থাপনা করতে সমস্যা নেই। সর্বশেষ চ্যানেল নাইনে ‘তবুও গান’ নামে একটা ঈদের অনুষ্ঠান করেছিলাম। সেটি ছিল নাটকের গান ও গায়ক-গায়িকা নিয়ে।

 

সিনেমার গানে কেন নেই?

সিনেমার গানের সঙ্গে যারা আছেন ওরা মনে হয় আমাকে চেনেন না। ওরা যাদেরকে চেনেন তাদের দিয়েই গান গাওয়ান।

 

আর নতুন অডিও গান...

গান তো প্রকাশ করলে যখন-তখন করা যায়। কয়েকটি গান তৈরিই আছে। প্রকাশ করছি না অনেক কারণে। একে তো এখন অস্থির সময় চলছে, শ্রোতারা ট্রেন্ডি গানে মজে আছে। তারা আগে শান্ত হোক, তারপর নতুন গান। আর আমরা চাইলেও তো সস্তা কথার গান করতে পারব না। চলতি কথার গান এক ধরনের আর সস্তা কথার গান আরেক ধরনের। এমনিতে বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। একটা শ্রোতামহলও আছে আমার। তাদের নিরাশ করতে চাই না।

সর্বশেষ খবর