এ প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। গত কয়েক বছর ধরে তিনি রয়েছেন দর্শক চাহিদার তুঙ্গে। গান গেয়েও তিনি ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন সম্প্রতি। রোজার ঈদ শেষে এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন কোরবানি ঈদের কাজ নিয়ে। নতুন কাজ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
কোন নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত?
কোরবানি ঈদের জন্য নতুন একটি সিঙ্গেল নাটকের শুটিং করছি। আপাতত নাম রাখা হয়েছে ‘ঠিক বেঠিক’। তবে পরবর্তী সময়ে নাম পরিবর্তন হতে পারে। এটির ডিরেক্টর নোমান ভাই। নাটকটি নোয়াখালীর ভাষায়। আমি যেহেতু নোয়াখালীর ভাষায় তেমন পারদর্শী নই, তাই খুবই কষ্ট হচ্ছে সংলাপ দিতে। তার পরও চেষ্টা করছি। এ নাটকে নিলয় ভাই, মাসুম বাশার আঙ্কেল, চিত্রলেখা আন্টি রয়েছেন।
সামনে ঈদের কাজ কেমন চলছে?
সেটা তো সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে ঈদের রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকব, দম ফেলার ফুরসত নেই। এটা বলতে পারি, অনেক কাজই আসবে। আগের কিছু কাজ আছে, সেগুলোও আসবে। এ ছাড়াও রোজার ঈদের যে কাজগুলো প্রকাশ হয়নি, সেগুলো কোরবানি ঈদে আসবে। এইতো!
‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ দর্শক চাহিদার শীর্ষে...
আসলে প্রত্যেকটি কাজই অনেক কষ্ট করে করি। অনেক সময় দিয়ে, নানারকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ার পর যদি কাজটি ভালো হয়; সেই কাজটি যদি দর্শক বা মানুষ দেখে। কাজটি নিয়ে যদি কথা বলে, প্রশংসা করে-এর চেয়ে পরম পাওয়া আর কী হতে পারে! এই ভালোবাসাটা অন্যরকম ভালো লাগার। মনে করি, পরিশ্রম সার্থক। অন্যরকম সারপ্রাইজ। আসলে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ করার সময় কিন্তু বুঝি নাই যে কাজটি নিয়ে মানুষের এত রেসপন্স পাব। এখন ‘একান্নবর্তী’ নিয়েও মানুষের একই সাড়া পাচ্ছি। ‘নীল রঙের সাইকেল’ নিয়েও মানুষ বলছে।
হিমি-নিলয় জুটির সাফল্যের মূলমন্ত্র কী?
কাজের প্রতি একাগ্রতা। দুজন দুজনকে সমানভাবে স্পেস দিই। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে যে ডমিনেটিং বা নায়কদের প্রাধান্য, সেই সিচুয়েশন আমাকে কখনো ফেস করতে হয়নি নিলয় ভাইয়ের কারণে। তিনি খুবই ফ্রেন্ডলি। আসলে আমরা অনেক আগে থেকেই একসঙ্গে কাজ করেছি। তাই বোঝাপড়াটা ভালো। ২০১৫ সালে একটি সিরিয়ালে প্রথম কাজ করি।
বড় পর্দায় কাজ হবে কবে?
অফার তেমন করে আসে না। আগে যখন এসেছে, তখন করিনি। এখন নাটকের কাজে ব্যস্ত। তাই নাটকের আর্টিস্ট মনে করে হয়তো ফিল্মের অফার দেয় না। তবে ভালো গল্প ও চরিত্র হলে করব।
শিল্পী সংঘের নির্বাচিতদের কাছে প্রত্যাশা?
একটাই চাওয়া, যে ডিরেক্টরগুলোর কাছে আমি টাকা পাই সেই টাকাগুলো তুলে দেওয়ার যেন উদ্যোগ নেয়। এত কষ্ট করে কাজগুলো করি, তারপর যদি কাজের মূল্য এভাবে দেয়, সেটা হতাশা ও দুঃখজনক। অনেকের কাছে পাই তবে বিশেষভাবে একজনের নাম উল্লেখ করতে চাই। তিনি নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম। বড় কিছু কাজ করেছিলাম। এর মধ্যে একটির শুটিং করেছিলাম ২৫ দিন। তার মধ্যে দুই দিনের শুটিংয়ের টাকা পেয়েছিলাম। বাকিটা চাইতে গেলে বলে, উল্টো তাকে টাকা দেওয়া উচিত। কারণ, তিনি নাকি কাজটি দিয়ে আমাকে ধন্য করেছেন! তখন আমি নতুন ছিলাম। কিছুই বুঝতাম না। তার অনেক সচেতনতামূলক সিরিয়ালও করেছি সে সময়। কিন্তু তার ফলাফল এই টাকা না দিয়ে ঘোরানো। এটা খুবই কষ্ট দেয়।