২৯ মে, ২০১৯ ১১:৪৭

পাশ্চাত্য পোশাকে সংসদ ভবনে, মিমি ও নুসরাতকে নিয়ে বিদ্রুপ

অনলাইন ডেস্ক

পাশ্চাত্য পোশাকে সংসদ ভবনে, মিমি ও নুসরাতকে নিয়ে বিদ্রুপ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নবনির্বাচিত দুই সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান শার্ট-ট্রাউজার্স, জিন্স পরে সংসদভবনে গিয়েছিলেন। তার পরেই তাদের ঘিরে উত্তাল হল ট্রোলবাহিনী। শাড়ি পরিহিতা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দুই নায়িকার ছবি দিয়ে সাইবার দুনিয়ায় ছড়াল, এক জন বিজেপির। অন্য দু’জনের সঙ্গে তফাত সহজেই দেখা যায়।

এক নেটিজেন সংসদভবনের সিঁড়িতে নবনির্বাচিত তরুণ সাংসদ তেজস্বী সূর্যের মাথা ঠেকানোর ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, এই ভাবে সংসদে যাওয়া উচিত। মিমি চক্রবর্তী, আপনি এক জন কুলাঙ্গার।

ভারতের সংসদে কোনও পোশাকবিধি নেই। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্তই সেটি। সকলে ইচ্ছামাফিক খাবে, পোশাক পরবে। আসামের কোনও তরুণী সাংসদ মেখলা পরে আসতেই পারেন। আর নরেন্দ্র মোদি গত বছর সংসদের সিঁড়িতে মাথা ঠেকিয়েছেন বলে সবাইকে তা করতে হবে এমনটা ধরে নেয়ার কোনো মানে নেই। 

পুরুষের পাশাপাশি বহু নারীও অবশ্য দুই নায়িকাকে ট্রোল করেছেন। রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখার পরে মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে ট্রোল অবশ্য আগেও হয়েছে। প্রচারে তার জিন্স-টপ পরা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে মিমিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা নারী-পুরুষের সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলি, অথচ এখনও পোশাক নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করি। অনেক পুরুষই ওখানে জিন্‌স, টি-শার্ট পরেছিলেন। অথচ তাদের কাউকে ট্রোল করা হল না। বাঙালি কালচার নিয়ে এত কথা বলে! কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি কি এটাই শেখায় যে, নারীদের গালাগালি করতে হবে?

নুসরত বললেন, আমি কোনও দিনই ‘ট্রোল’কে পাত্তা দিইনি। কাজ আমার কাছে বরাবর গুরুত্ব পেয়েছে। এ বারও কাজই আমার হয়ে কথা বলবে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর