১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:১৬

পুলিশের নজরদারিতে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়া

অনলাইন ডেস্ক

পুলিশের নজরদারিতে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়া

তাহসান-মিথিলা-ফারিয়া

গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক গ্রাহক। মামলায় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান ও অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদুর রহমান বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে এরইমধ্যে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এমন অভিযোগে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শুরু থেকে সংযুক্ত করা হয়েছিল নামিদামি তারকাদের। অনেকের অভিযোগ জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ইভ্যালি প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হবে জনপ্রিয় তারকা তাহসান, অভিনেত্রী মিথিলা এবং শবনম ফারিয়াকে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নয় জনকে। ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা ছাড়াও মামলায় পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে সঙ্গীত শিল্পী তাহসানকে। আট ও নয় নম্বর আসামি করা হয়েছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাকে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া  তিনি বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক আমাদের এখানে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।  এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাজিব হাসান বলেন, উক্ত মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমান বলেন, আমি ইভ্যালিতে বাইক অর্ডার করেছিলাম। দীর্ঘ চেষ্টায়ও বাইক পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। তাহসানের মত একজন মানুষকে ট্রাস্ট করেছি। এর বাইরে যারা আছেন তারাও ইভ্যালির গুনগান গেয়েছেন। তাদের দেখে আশান্বিত হয়েছিলাম। ভেবেছি এরা থাকলে কোম্পানি প্রতারণা করবে না। তাই তিন লাখ ১৮ হাজার টাকার বাইক অর্ডার করেছি। সাত মাস আগে অর্ডার করেছি, এখন পর্যন্ত পাইনি। কতদিন এভাবে অপেক্ষা করবো।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর