১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:২৭

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণ

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণ

সেলুলয়েডের কবি হিসেবে খ্যাত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনিরের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটির স্মরণে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে 'তারেক মাসুদ চলচিত্রের আদম সুরত' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভার সভাপতি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন। মূল আলোচক ছিলেন, চলচ্চিত্র পরিচালক, গবেষক ও লেখক মনিস রফিক। এছাড়া মিশুক মনিরের ভাই বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ত্ব ও মানবাধিকার কর্মী আসিফ মুনীর, শিল্প সমালোচক, গবেষক ও লেখক মইনুদ্দীন খালেদ, চলচ্চিত্র পরিচালক প্রসূন রহমান এবং চলচ্চিত্র পরিচালক অপরাজিতা সংগীতা আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা তারেক মাসুদের কাজকে কোনোদিন ভুলতে পারবো না। তার কাজ যতদিন থাকবে ততদিন তরুণদের উজ্জীবিত করবে। মিশুক মুনীর ইলেকট্রনিক জার্নালিজমের বিপ্লব ঘটান দেশে।

বিশেষ অতিথি জসিম উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে তারেক মাসুদের সৃষ্টিকর্ম আর্কাইভে রাখার কাজ শুরু হয়েছে। মিশুক মুনীরের কাজ গুলোকেও তারা সংরক্ষণ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের আহবান জানান।

মিশুক মুনীরের ভাই আসিফ মুনীর বলেন, মিশুক মুনীর প্রথাগত চিন্তার বাইরে এসে চিন্তা করতে পারতেন। তার কাজের মাঝে অধ্যবসায় ছিল, রানওয়ে সিনেমার একটি প্লেনের শট নিতেই দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছেন তিনি।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর সময়ের তুলনায় এগিয়ে ছিলেন। আন্তর্জাতিক মানের কাজ উপহার দিয়েছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে মিশুক মুনীরের নাম তারেক মাসুদের সাথে ব্যবহার করা হয় না। যেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণে তাদের উভয়ের মিলিত অবদান ছিল।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর