শিরোনাম
১০ জুন, ২০২৪ ১৮:৫৩

চড়কাণ্ডের পর পুরনো পোস্টেই ঘায়েল কঙ্গনা

অনলাইন ডেস্ক

চড়কাণ্ডের পর পুরনো পোস্টেই ঘায়েল কঙ্গনা

লোকসভা নির্বাচনে জয় পেয়েই বিমানবন্দরে নারী নিরাপত্তা কর্মীর চড় খেয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। আর এই কাণ্ডের পরই বিস্তর অভিযোগ করেছেন সদ্য নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য। তবে সেই অভিযোগের পর আরও ক্ষেপেছে নেটিজেনরা। তাদের দাবি, কঙ্গনা ভণ্ডামির চূড়ান্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।

তার এই চড় খাওয়ার ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে অনলাইন মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশ কঙ্গনার বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী কঙ্গনা তার নানা সময়ের উস্কানিমূলক বক্তব্যেরই ফল পেয়েছেন হাতেনাতে।

আর এই কঙ্গনার চড় খাওয়া যে অযৌক্তিক নয় তা প্রমাণ করতে অনেকেই টানছেন পুরনো ঘটনা। ২০২২ সালে অস্কারের মঞ্চে উইল স্মিথ চড় মেরেছিলেন ক্রিস রককে। স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে নিয়ে রসিকতা করায় মঞ্চে উঠে সঞ্চালক রকের গালে চড় মারেন হলিউড তারকা। উইল স্মিথের এ কাজে সমর্থন দিয়েছিলেন বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাওয়াত। 

এখন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে সিআইএসএফ কনস্টেবলের হাতে চড় খাওয়ার পর যারা এ ঘটনায় সমর্থন দিয়েছেন, তাদের রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা। এর পরই আবার আলোচনায় উঠে এসেছে স্মিথকে সমর্থন দিয়ে করা অভিনেত্রীর সেই পুরনো পোস্ট।

২০২২ সালে ক্রিস রককে চড় মারার ঘটনায় অস্কার থেকে ১০ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে স্মিথকে। এ তারকা নিজেও ক্ষমা চেয়েছিলেন। আর তার চড়-কাণ্ড নিয়ে দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল মানুষ। ওই সময় কঙ্গনা এক ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রককে স্মিথের চড় মারা ছবি শেয়ার করে লেখেন লেখেন, স্মিথের জায়গায় থাকলে তিনিও একই কাজ করতেন। 

চড় খাওয়ার পর এক টুইটে কঙ্গনা লিখেছেন, 'প্রত্যেক ধর্ষক, খুনি, চোরের অপরাধের নেপথ্যে জোরালো আবেগ, মনস্তাত্ত্বিক বা আর্থিক কারণ থাকে। বিনা কারণে কোনো অপরাধ ঘটে না। তবু অপরাধের জন্যই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়, জেলে পাঠানো হয়। আর আপনি যদি অপরাধীর অপরাধ করার নেপথ্যে থাকা জোরালো আবেগীয় যুক্তিকে সমর্থন দেন, তাহলে আপনিও এদেশের আইন লঙ্ঘন করছেন।' 'মনে রাখবেন, কেউ যদি একজন মানুষের অনুমতি ছাড়াই তার শরীর স্পর্শ করার স্পর্ধা দেখান এবং সেটা যদি আপনি সমর্থন করেন, তাহলে বলতে হয়, ধর্ষণ বা খুনের মতো ঘটনাও আপনাকে বিচলিত করে না।' এরপর তিনি এরকম মনোভাব পোষণ করা ব্যক্তিদের ইয়োগা বা ধ্যান করা পরামর্শ দেন। নইলে জীবন তিক্ত হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে কঙ্গনা আরও লিখেছেন, 'দয়া করে এত বিদ্বেষ, ঘৃণা আর হিংসা পুষে রাখবেন না, নিজেকে মুক্ত করুন।'

কঙ্গনার এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন, যে কঙ্গনা উইল স্মিথের চড় মারাকে সমর্থন দিয়েছিলেন, সেই তিনিই আজ নিজে চড় খেয়ে হিংসামূলক প্রতিবাদের বিপক্ষে কথা বলছেন!

আরেকজন লিখেছেন 'কঙ্গনা রানাওয়াতের মতে, উইল স্মিথ তার স্ত্রীকে রসিকতা করার জন্য যে-কাউইকে মারতে পারবেন, কিন্তু কঙ্গনা আরেকজনের মাকে "১০০ রুপিতে কেনা যায়" এবং তার কৃষক পিতার শিরশ্ছেদ করতে বললেও কেউ তাকে কিছু করতে পারবে না? এই হল ভণ্ডামির সীমা…'

পাঞ্জাবের কৃষক পরিবারের মেয়ে কুলবিন্দর কউর। ২০২০-২১ সালে কৃষক আন্দোলনেযোগ দিয়েছিলেন কুলবিন্দরের মা। ওই সময় কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেছিলেন, '১০০ রুপির' জন্য নারীরা ওই আন্দোলনে বসে আছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এক্সে এক ওই পোস্টে এ বলিউড তারকা দাবি করেন, এক বয়স্ক নারী তাকে বলেছিলেন যে ১০০ রুপি দিলে তিনি 'আসবেন'। এ মন্তব্যের কারণেই কঙ্গনার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কৃষককন্যা কুলবিন্দর।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর