১৬ আগস্ট, ২০২৪ ২১:০৮

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ বিলুপ্তির দাবি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ বিলুপ্তির দাবি

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের লোগো

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মীরা। সংস্কৃতিচর্চার নামে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষিত করার অভিযোগে এই চার সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিলুপ্তি দাবি করেন তারা।

মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ নির্মাণের দাবিতে শুক্রবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির সামনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিকর্মী সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংস্কৃতিকর্মীরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ থিয়েটারের অধিকর্তা খন্দকার শাহ আলম।

নাট্যকর্মী তপন হাফিজের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা থিয়েটারের কামাল বায়েজীদ, প্রাচ্যনাটের আজাদ আবুল কালাম, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মফিজুর রহমান লাল্টু, কন্টেম্পোরারি থিয়েটারের মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‌‘সংস্কৃতিচর্চার আড়ালে অনেক সংস্কৃতিকর্মীরা স্বৈরাচারের তাবেদারি করে দেশের সংস্কৃতিচর্চাকে বিতর্কিত করেছেন। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের মাত্রাতিরিক্ত তেলবাজির কারণে আজকে গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গন কলুষিত। সদ্য সাবেক স্বৈরাচারের দালালি করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন তারা। সংস্কৃতির সর্বত্র তারা বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান, পথনাটক পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এক সময় নানা দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছিল কিন্তু বিগত সরকারের কাছ থেকে নানা ধরনের সুবিধা নিয়ে তারা তাদের বিবেককে বিক্রি করে দিয়েছেন। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের সকল সংস্কৃতিকর্মীদের।

সমাবেশ শেষে একক আবৃত্তি করেন মনজুরুর রশীদ বিদ্যুৎ ও আমিনুন নুজহাত মনীষা। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ থিয়েটার ও বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর