যে কোনো মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে সমাজ জেগে উঠবে, প্রতিবাদ করবে, বিচারের দাবিতে সোচ্চার হবে এটা খুবই ভালো লক্ষণ। রাষ্ট্রের জন্য ভালো, সমাজের জন্য ভালো। রাষ্ট্র সঠিক পথে চলবে। আবরারের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে দলমত নির্বিশেষে সবাই জেগে উঠেছে, বিবেক সোচ্চার হয়েছে। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলবো না, কারণ একজন মানুষ মারা গেলে সে সবকিছুর ঊর্ধ্বে চলে যায়।
প্রশ্ন রাখি, যদি আবরার ছাত্রলীগের কেউ হতো তাহলে কি আপনার, আমার বিবেক সোচ্চার হতো? আমার বিশ্বাস হয়তো হতো। কিন্তু বাস্তবতা খুব একপেশে এবং নির্মম। কারণ বুয়েটের ছাত্র আরিফ রায়হান দীপকে যখন ক্যাম্পাসেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় তখন প্রতিবাদগুলো হয়নি। ছাত্রলীগ নেতা ফারুককে যখন শিবিররা মেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানহোলের ভিতর ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিলো তখন বিবেক ঘুমিয়ে ছিল? এইরকম অসংখ্য উদাহরন দেয়া যাবে। সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আপনার আমার বিবেক কথা বলবে- এটাই চাওয়া।
পৃথিবীতে এমন কোনো রাষ্ট্র নেই যেখানে ঘটনা ঘটে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে ঘটনা ঘটতে না দেয়া, সকলের নিরাপত্তা দেয়া। এরপরও যদি কোনো ঘটনা ঘটে রাষ্ট্রের কর্তব্য ক্ষতিগ্রস্তের পাশে সর্বোচ্চ অবস্থান নেয়া। আবরারের ঘটনায় শেখ হাসিনার সরকার তাই করেছে। কোনো দাবি উঠার আগেই আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে নেয়া হয়েছে । নিজ দলের ছাত্রসংগঠনের প্রতি অভিযোগের তীর হলেও বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছেন না তিনি। তিনি বলেছেন, মায়ের মমতা নিয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করবেন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা