জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ‘দায়িত্ব পেলে যুবলীগের দায়িত্ব নেওয়ার’ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার এই আগ্রহে আমি দোষের কিছু দেখি না। সমালোচনার কিছুও দেখি না। প্রত্যেক মানুষেরই একটা আগ্রহের জায়গা থাকে, সেই আগ্রহের পেছনে নিজের যোগ্যতার ব্যাপারটাও থাকে।
মিজান সাহেবের আগ্রহের জায়গা হচ্ছে যুবলীগ- তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বানানো হয়েছিলো। তিনি বলেছেন যুবলীগ তার প্রাণের সংগঠন, যুবলীগের জন্য তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। তিনি কি কখনো বলেছেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রাণের প্রতিষ্ঠান? মনে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে- জ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গা- জ্ঞান বিজ্ঞানের বিষয়ে তার আগ্রহ কম থাকতেই তো পারে। অভিজ্ঞতাও কম থাকতে পারে। তার যেখানে এক্সপার্টাইজ তিনি সেখানেই যেতে চেয়েছেন- এ নিয়ে এতো কথা কিসের!
আমি বরং মিজান সাহেবকে ধন্যবাদ দেব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইসচ্যান্সেলরদের আকাংখার, যোগ্যতার জায়গাটা তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন। জগন্নাথের ভিসিকে দ্রুত রাজনৈতিক দলে ডেপুটেশনে পাঠানো হউক। অন্যান্য ভিসিদের ব্যাপারেও এই প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে। লেখাপড়া, জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার চেয়েও ভিসি সাহেবরা রাজনীতিতে ভালো করবেন। ভিসি সাহেবরা হচ্ছেন ’জেনুইন পলিটিক্যাল অ্যানিমেল’।লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, নতুন দেশ ডটকম
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/হিমেল