পেয়ে হারানোর বেদনায়
মেনন সাহেবের প্রলাপ!
এই মেনন সাহেবদের আমি এক সময় মনে মনে শ্রদ্ধা করতাম। মনে করতাম মেনন সাহেব এবং আরো কয়েকজন আছেন, যারা লোভী মানুষ না।
আমার মতো অনেকেরই এমন ভুল ধারনা ছিল। আজ বাংলাদেশের কোনো মানুষের এদের সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা পেতে আর বাকি নেই।মন্ত্রীগিরি পেলেই মাথা ঠাণ্ডা, না পেলে তখন বিপ্লব পয়দা হয়! আগের মেনন আর আজকের মেনন আকাশ পাতাল ফারাক।
ভিকারুন্নেসা স্কুলে ভর্তি করতে টাকা নেওয়া মেননকে বাংলাদেশ চিনতো না। ক্যাসিনো চালানো ক্লাবের সভাপতি মেননকে মানুষ আগে চিনতো না।
আগে মন্ত্রী হতে পারেনি বলে ওনারা সুযোগের অভাবে সৎ ছিলেন, এখন মুখোশ খুলে গেছে।
গ্রেফতারের ভয়ে বিরাট ভাষণ দিয়েছেন আজ। কথা বলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। বলেছেন, 'নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি।'
মারহাবা মারহাবা -
ভোটের পরের দিন এই ভাষণ তিনি দিলেন না কেন? মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার পরও তিনি লাইন মতোই চলেছেন, কিন্তু এখন হঠাৎ কেন এই ভাষণ?
তিনি বলেন যে, 'দেশে কোন ভোট হয়নি, তিনি সাক্ষী!' কিন্তু তিনি এমপিগিরি ছাড়ছেন না! তিনি আসলে বাঁচতে চাচ্ছেন!
ক্যাসিনোর টাকা কীভাবে পেতেন সকল প্রমাণ সরকারের হাতে, মন্ত্রী থাকাকালীন কি কি করেছেন সকল হিসেব সরকারের হাতে, ভিকারুন্নেসা স্কুলের হিসেব সরকারের হাতে।
তিনি যেভাবেই হোক জেনে গেছেন যে, তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। তাই তিনি আজ এমন জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন। যাতে মানুষ মনে করে যে, এই ভাষণের জন্য তাকে ধরা হয়েছে!
মেনন সাহেবের বোঝা উচিৎ, আজ উনার শত কোটি টাকা আছে কিন্তু সম্মান, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা, সততার মুখোশ - কিছুই নাই।
এ টাইপের মানুষদের সম্মান থাকে না! তাদের বক্তব্য হাসির খোরাক জোগায়। মেনন সাহেবের বক্তব্য নিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও হাসাহাসি করছে!
এ ধরনের মানুষরা কখন, কেন, কি বক্তব্য দেন মানুষ সবই বোঝে! মেননের এই করুণ পরিণতি দেখে খুবই ভালো লাগছে...
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা