প্রবাহমান নদী-যে সাতার জানেনা, তাকেও ভাসিয়ে রাখে!
সরকারি দল হচ্ছে, প্রবাহমান নদীর মতো! কতো কতো অকালকুষ্মাণ্ড ভেসে থাকে! কৈ মাছের মতো উজায়!! পেশিশক্তি, রক্ত চক্ষু দেখায়, মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে রাখে।
কিন্তু প্রতিকুল পরিবেশে এরা মুখ খুলে কিছু বলতেও সাহস পায়না। সততার শক্তি অন্য জিনিস। অসৎরা সাহসীর ভাব দেখালেও ভিতরে ভিতরে প্রচণ্ড ভীতু।অসৎ লোক খুটির জোরে হঠাৎ আওয়াজ দিলেও, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চুপসে যাওয়া বেলুনের মতো চুপসে যায়!
কেউ কেউ মনে করেন, দলের জন্য মাস্তান অনিবার্য! তাই মাস্তাদের টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন, তারা কিছু অবৈধ আয় করে থাকলেও সেসব না দেখাই উচিৎ, এরা মিটিং সফল করে ইত্যাদি।
এ কথা মোটেও সত্য নয়, মাস্তানেরা অস্ত্র ব্যবহার করেন সাধারণত নিজ দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে! দলের জন্য মাস্তান দরকার নেই, মাস্তানের জন্য দল প্রয়োজন।
আদর্শ নির্ভর দলে সোনার মানুষ দরকার হয়। বিনয়ী, মেধাবী, সৎ এবং সাহসী কর্মী দলের সম্পদ। তাদের আচরণ দলকে সমৃদ্ধ করে। লুটেরা মাস্তানরা সাহসী নয়, ভীতু। নেতার ছায়া না থাকলে ওরা ইদুরের গর্তে লুকায়।
এখনো বাংলাদেশের সর্বত্র বিএনপি'র জাদরেল মাস্তানেরা আছে। তাদের কাছে প্রচুর টাকা এবং অস্ত্রও আছে। এদের সংখ্যা প্রচুর। কি কাজে লাগতে পারছে তারা?
দুর্দিনে মাস্তান দলকে টিকিয়ে রাখেনি। আদর্শ ও নৈতিকতা আওয়ামী লীগ টিকিয়ে রেখেছিল। আদর্শ একজন নিরিহ মানুষকেও প্রচণ্ড শক্তিশালী বানিয়ে দিতে পারে।
একুশে আগস্টে শেখ হাসিনাকে মানববর্ম তৈরী করে ঘিরে রেখেছিলেন দলের আদর্শবাদী পরিক্ষিত নেতারা। মাস্তানরা নয়। বিখ্যাত মাস্তানদের কাউকেই সেদিন আহত হতেই দেখা যায়নি।
দুর্দিনের আভাস পেলেই মাস্তান, লুটেরা কার আগে পালাবে সেই প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়। দুর্দিনে দলের কাজে লাগাতো বহু দূরের কথা।
এরা সম্পদ রক্ষার চিন্তায় অস্থির। এদের গোপন সম্পর্ক অন্যদলের সাথে, পালাবার জন্যও ওরা নিজ দলের কোন বাসা পায় না!
আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতি। আওয়ামী লীগ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনতার শক্তি। আওয়ামী লীগ দেশপ্রেম ও রাজনীতি চর্চাকেন্দ্র। আওয়ামী লীগ কাপুরুষের দল নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল এটি।
কতিপয় লুটেরা, হঠাৎ গজিয়ে উঠা নেতা, মেধাশুন্য রাজনৈতিক, ক্ষমতা এবং পুলিশি সহয়তার কারণে শক্তিধর নেতারা- অন্যায় করে, লুটপাট করে, মিছিলের সামনে হেঁটে, গাছে ও লাইটপোস্টে নিজেদের নোংরা ছবি ঝুলিয়ে আমাদের দলের আদর্শের ভীত নড়বড়ে করে দিচ্ছে।
প্রিয় মুক্তিযোদ্ধা, প্রিয় বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পাওয়া আদর্শ নেতৃবৃন্দ, আপনাদের মৃত্যুর সাথে সাথেই যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মরন না হয়, সে কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন, এখনো সেভাবে শুরু হয়নি, গান শুরুর আগের তবলার টুংটাং হচ্ছে! আসল গান শুরু হবে কিছুদিন পর, চলবে মুজিব বর্ষ জুড়ে!
আসুন আমরা সকলে মিলে নেত্রীর মহৎ অভিযান সফল করি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন