তখন চারদিকে জঙ্গি নিয়ে তুমুল হৈ চৈ অবস্থা। অনেক ব্লগার, লেখক, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য 'গানম্যান’ -পুলিশের প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘তাঁরা’ যেখানে যান- তাদের সঙ্গে পুলিশ প্রহরা থাকে।
: লেখার তো কতো বিষয় আছে, আপনে আমগো নবীরে লইয়া লেখেন কেন?’- নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের প্রশ্নে চমকে ওঠেন লেখক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষে তিনি লেখালেখি করেন, রাজনৈতিকভাবেও তিনি ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষেরই লোক।পুলিশের প্রশ্নে তিনি চমকে ওঠেন।
: আমি নবীকে নিয়ে লিখি- এটা আপনাকে কে বলেছে?
: জানি জানি, আপনাগো যাদের লগে সরকার পুলিশ দিছে, আপনারা ইসলামের বিরুদ্ধে, নবীর বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন। সে জন্যই তো আপনাগো নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রহরা দিসে।
: দেখেন, আমার গায়ে ইউনিফর্ম আছে, কিন্তু আমিও তো মানুষ। আমার নবীকে, ধর্মকে গালাগালি করলে আমার গায়েও লাগে।– নির্বিকারভাবে বলে যায়- লেখকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশকর্মীটি।
বাসায় ফিরেই অতিপরিচিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করেন লেখক- অনুরোধ করেন, পুলিশ প্রহরা সরিয়ে নিতে।
হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক অপরাধীর মাথায় ‘আইএস’ এর টুপি নিয়ে নানা লেখালেখি দেখে টেলিফোনে শোনা ঢাকার এক লেখকের এই অভিজ্ঞতার বয়ানটা মনে পড়ে গেলো।
লেখক: প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা