সাধারণ মানুষ যারা স্বল্প মূল্যে ভোগ্য পণ্য কিনতে চায়, ত্রাণ নিতে চায় না, তাদের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার।
এটি অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় সরকারি উদ্যোগ। তবে এই রেশনকার্ড বিলি করছেন কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহেবেরা।
এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি দরকার। যেমন এক পরিবারে কয়জন এই কার্ড পাবে। এ কার্ড পেতে সে অঞ্চলের ভোটার হতে হবে কিনা ইত্যাদি।
আবার কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান মেম্বার সাহেবেরা নিজেদের পছন্দের পরিবারের সদস্যদের, একই ঘরে তিনজনকে তিনটি কার্ড দিচ্ছেন, অন্যদের দিচ্ছেনই না! এই অসম বন্টন ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য নয়। করোনা সময়েতো একেবারেই নয়।
মানুষ যখন অসহায় অবস্থায় পড়েছে, সে সময়ে জনপ্রতিনিধিদের অনেক বেশি মানবিক আচরণ করা উচিৎ। ভবিষ্যৎ ভোটের চিন্তা করা উচিৎ নয়।
আমাদের দেশের নির্বাচিত নেতারা সবাই মাশাল্লা ধনী মানুষ। ধনী মানুষেরা বুঝেই না যে, সাধারণ মানুষ কতোটা অভাবে আছে।
তারা সম্মানের ভয়ে অসহায়ত্বের কথাও কাউকে জানাতে চায় না। চেয়ারম্যান মেম্বারদেরতো আরো বেশি জানাতে চায়না!
সরকার তার সাধ্যমতো সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের চাইতেও আমাদের নেতারা অনেক বেশি ধনী!
তারা ইচ্ছা করলে প্রতি পরিবারে একসাথে তিন মাসের চাল পাঠিয়ে দিতে পারেন, অন্য কিছুর দরকার নেই। যাতে মানুষ অন্তত ভাতের কষ্ট না পায়। এবং প্রতিটি পরিবারে যাতে অন্তত একজন রেশনকার্ড পায় তা নিশ্চত করাও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ এবং যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন