২৭ এপ্রিল, ২০২০ ২০:৪৬

দীর্ঘক্ষণ খোকন সাহার মরদেহ সিঁড়িতেই পড়েছিল

নিলয় চক্রবর্তী

দীর্ঘক্ষণ খোকন সাহার মরদেহ সিঁড়িতেই পড়েছিল

নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী খোকন সাহা। ৭ তলার ফ্ল্যাট ভবনের মালিক, ৭ বন্ধু মিলে এই ফ্ল্যাট বাড়িটি তৈরি করেছেন। ওই ভবনের ৪ তলাতে তিনি স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। বিত্ত বৈভব ধন সম্পত্তির কমতি নেই। আজ শারীরিক অবস্থা যখন প্রচণ্ড খারাপ হয় তখন আশপাশের ফ্ল্যাটে থাকা উনার সেই বন্ধুদের এবং পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের ডেকেছিলেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে। কিন্তু কেউ আর তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।

পরে স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়েই খোকন সাহাকে কোনো একটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নামিয়ে আনছিলেন। সেই সময় নামানোর পথে সিঁড়িতেই তিনি মারা যান। এরপরও কেউ এগিয়ে আসেনি। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ খোকন সাহার মরদেহ সিঁড়িতেই পড়েছিল। কেউ একবারের জন্যও ছুঁয়ে দেখেনি। এমনকি স্ত্রী-কন্যার কান্নায়ও মন গলেনি কারো। বেলা ১২টার দিকে খবর পেয়ে খোকন সাহার মরদেহ সংগ্রহ করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

তিনি ও তার দলের লোকজন খোকন সাহার সৎকার সম্পন্ন করেন। মৃতের সম্প্রদায় কিংবা তার স্বজনরা কেউ না আসায় পরিবারের অনুমতি নিয়ে খোকন সাহার মুখাগ্নির কাজটিও করেন মাকসুদুল আলম খন্দকার নিজেই।

করোনাভাইরাস শুধুমাত্র মানুষের স্বার্থপরতার দিকটি উন্মোচন করেনি, মাকসুদুল আলম খন্দকারের মতো কিছু পূর্ণাত্মাকেও খুঁজে পেতে সহযোগিতা করেছে। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা আপনার জন্য।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর