১ মে, ২০২০ ২২:০১

কীর্তিমানদের কিছু কথা

নুরুল আলম পাঠান মিলন

কীর্তিমানদের কিছু কথা

নুরুল আলম পাঠান মিলন

সব কথা সত্য নাও হতে পারে। যেহেতু লিখেছে, তাই আমিও টুকে রাখলাম। আর যদি ভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, তাহলে তো বাড়তি পাওনা হলো।

ফজলে রাব্বী, বাংলা একাডেমী এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। তিনি লিখেছেন, সরদার ফজলুল করিম এবং ফজলে রাব্বী দুজনে মিলে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। টেপ রেকর্ডারটাও ফজলে রাব্বীর ছিল। কিন্তু একসময়ে দেখা গেলো সরদার ফজলুল করিম নিজের নামে বই ছাপিয়ে ফেললেন।

এখন বাজারে যে বইটি পাওয়া যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথোপকথন নামে। ফজলে রাব্বীর এই অভিযোগের কোনো প্রতিবাদ সরদার স্যার কিংবা তার গুণমুগ্ধ কারও কাছ থেকেই পাইনি, পড়িনি।

মঈদুল হাসান। বাম বুদ্ধিজীবী। মূলধারা ৭১ এর লেখক। মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতা-দিল্লি যাতায়াত ছিল খুব। তো ইন্দিরা গান্ধীর মূখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক মিত্র তার আপিলা-চাপিলা বইতে লিখেছেন, মঈদুল হাসান খুব চৌকষ ছিল। আমাদের বন্ধুর বাসায় তার থাকার ব্যবস্থা হলো। এক সময় গৃহকর্তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। পরে বিয়েও করেন। মঈদুল হাসান প্রেমিক বটে! 

কমরেড ইমাদুল্লাহর স্ত্রী নূরজাহান, ইমাদুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুর পরে ইমাদুল্লাহর বন্ধু কমরেড স্বদেশ বোসকে বিয়ে করে নূরজাহান বোস হন। নূরজাহান বোস তার আগুনমুখার মেয়ে বইতে প্রয়াত জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমদ (ন্যাপ, বাকশাল ও আওয়ামী লীগ নেতা) এর অসহযোগিতার কথা খুব করুণভাবে লিখেছেন। তখন একটুকু সাহায্য নূরজাহানকে টিকে থাকা ও জীবন সংগ্রামকে গতিশীল করতে পারতো। কিন্তু মহিউদ্দিন আহমদের কাছ থেকে সহযোগিতা পান নাই। মহিউদ্দিন আহমদ প্রয়াত, তার পক্ষে ব্যাখ্যা অভিযোগ খণ্ডন করতে পারবেন কিনা কে জানে?

কমরেড মোহাম্মদ নবী, বহু বাধাবিপত্তি পেরিয়ে জীবন সংগ্রামে এগিয়েছেন। পার্টির নির্দেশে কমরেড ইমাদুল্লাহর বোন বেলাকে বিয়ে করেছিলেন। নবী লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সেই বিভীষিকাময় দিনে তার পরিবার এবং স্বদেশ বোস/নূরজাহান বোসের পরিবার গুলশানে কাছাকাছি থাকতেন। একদিন হঠাৎ করে নুরজাহান ফোন করে নবীর স্ত্রী বেলাকে জানান তারা কলকাতা পাড়ি দিচ্ছেন, তাদের সঙ্গে ইমাদুল্লাহ-নূরজাহানের ছেলে জসীমকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বেলা যেনো তাদের ছেলেকে এসে নিয়ে যান। জসীমের বয়স তখন ১৪/১৫ হবে। দ্রুত গাড়ি নিয়ে নবী ও বেলা যান, গিয়ে দেখেন নূরজাহান বোসের বাসার নিচে একটি খুপড়ি ঘরে জসীম একটি কাপড়ের পুটলা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন। তারা সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে এলেন। নূরজাহান বোসের পক্ষ থেকে এর কোনো ব্যাখ্যা কোথাও পাইনি, পড়িনি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর