৭ মে, ২০২০ ২১:৩১

যেন হাজার হাজার কোটি টাকার নীরব দুর্নীতি না হয়

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ

যেন হাজার হাজার কোটি টাকার নীরব দুর্নীতি না হয়

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ

সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধে টাকা প্রদান স্বচ্ছতার সাথে হোক। কোন দুর্নীতি যেন না হয়। সুনামগঞ্জে বোরো ফসল রক্ষায় এবার ১৩২ কোটি টাকার বরাদ্দ ছিল। আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় প্রতি বছর এসব এলাকায় ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়। আগে ঠিকাদারি পদ্ধতিতে এসব বাঁধ নির্মাণ করাত পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১৭ সালে চৈত্র মাসে আগাম বন্যায় ফসলহানী হয়। ফসলহানীর পর বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়ে ঠিকাদারি পদ্ধতি বাতিল করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিঠি (পিআইসি) এর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। দায়িত্বে আসেন জেলা, উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা প্রশাসন বাঁধ তদারকির জন্য কমিঠিতে বিভিন্ন পেশার প্রভাবশালীদের অন্তর্ভুক্ত করেন।

এবার সুনামগঞ্জে বোরো ফসল হুমকিতে পড়েনি। আল্লাহর রহমতে মানুষ ফসল উঠাতে পেরেছেন। প্রকৃতি ভাল থাকায় পানির চাপ ছিল না। ফলে বাঁধের ভূমিকা ছিল না। যদি অতিবৃষ্টি হত তাহলে বাঁধে পানির চাপ আসত। প্রকৃতি সহায় হওয়াতে বাঁধের সাহায্য প্রয়োজন হয়নি ফসল রক্ষায়। তবে এবার বাঁধ নির্মাণে বিপুল পরিমান টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অতীতে ঠিকাদারি প্রথায়ও এত বরাদ্দ ছিল না। তারপরের প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে কাজ নিয়ে ঠিকাদাররা কাজ করতেন। লাভও করতেন। বাঁধের কাজে অনেকগুলো খাত থাকে এবং কাজের ভাগ অনুযায়ী বরাদ্দ থাকে।যেমন কম্প্যাকশন করা, ঘাস লাগানো ইত্যাদি। এসবের আলাদা বরাদ্দ বাঁধের সাথেই ধরা থাকে। এবছর অল্প সময়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ বাঁধে কম্প্যাকশন এবং ঘাস লাগানো হয়নি। প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব এসব তদারকি করা। কম্প্যাকশন না করে, ঘাস না লাগিয়ে যেন এসবের টাকা কাউকে না দেয়া হয়। করোনাকালের সুযোগে এসব আড়াল করে বাঁধের অর্থ প্রদানে যেন হাজার হাজার কোটি টাকার নীরব দুর্নীতি না হয়। যতটুকু কাজ হয়েছে ততটুকুর অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক। পানিতে বাঁধ তলিয়ে যাওয়ার আগেই সরেজমিন তদন্ত হোক। সৎ, যোগ্য কর্মকর্তাদের দিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত টিম পাঠানো হোক। বাঁধের অর্থ প্রদানে দুর্নীতি বন্ধ করা হোক।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর