৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:১৪

বিনা চ্যালেঞ্জে আমার জীবন যাবে এমনটা হয়?

পীর হাবিবুর রহমান

বিনা চ্যালেঞ্জে আমার জীবন যাবে এমনটা হয়?

পীর হাবিবুর রহমান

বিনা চ্যালেঞ্জে আমার জীবন যাবে এমনটা হয়? কখনোই হয়নি। স্রোতের বিপরীতে উজানে সাঁতার কাটা একরোখা আমার জীবনে ডাক্তারদের আশংকাই সত্য হলো। সকল ডায়াগনসিস রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তার আদভানীর টিম বললেন, মাল্টিপল মায়লমা যেটা এক ধরনের ক্যান্সার, সেটিই হয়েছে। তবে একদম প্রাথমিক পর্বে ধরা পড়েছে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। ১০/১৫ বছর বেঁচে থাকা যায় স্বাভাবিক জীবনযাপনে। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া। তিনি তিনবার হার্ট অ্যাটাকেও জীবনদান করে আমাকে দৌড়ঝাঁপের জীবন দিয়েছেন। যতো স্বজনের কান্না দোয়া ভালোবাসা দেখেছি তাদের প্রতি অগাধ ঋণ আমার।

সুরেশ আদভানী কথা বললেন। তার ডান হাত ডা. শিবম কেবিনে এসে সব বুঝিয়ে দিলেন। অন্তর ও মিসবাহর সঙ্গে কথা বললেন। কাল সকাল একটি কেমোথেরাপি দেবেন। এর পার্শ-প্রতিক্রিয়া নেই। এক সপ্তাহ পর পর তিনটি দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেবেন। সেখানে চারমাস ইনজেকশন, কেমো চলবে। তারপর এসে দেখাতে হবে। ঢাকা থেকে আদভানীর সাথে যখন তখন কথাও বলা যাবে।

আজ বাইরে গিয়েছিলাম সকালে পেট স্ক্যান করাতে।ফেরার পথে' শাহনাজে' ননভেজ খাবার খেলাম।
ডা. শিবরাম বলেন একদম প্রাথমিকে মাল্টিপল মায়োলাম ধরা পড়ায় দেখা গেছে সে কেবল আমার হাড়ে কামড় বসিয়েছে। আর কোন অর্গানে থাবা দিতে পারেনি। হাড় কিছু দুর্বল করেছে, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমিয়েছিল। আজ হিমোগ্লোবিন ১১র মতো। এ দুটো এখন রক্ষা হবে। আর পাঁচ বছর গেলে কিডনি থেকে সব শেষ হতো। তার মতে আমেরিকায় ৭৫ বছর বয়সে এ রোগ হয়। ইউরোপে ৬৫বছরে। এশিয়ায় দুঃশ্চিন্তা টেনশনে আগেই হয়। যাক আল্লাহ মহান, দয়াময় সর্বশক্তিমান। নিঃস্বার্থ মানুষের ভালোবাসা আবেগ দোয়ায় মালিক হেফাজত করুন।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর