নাইট রাউন্ড শেষ করে বাসায় ফিরে প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে বাসায় ঢুকেই দেখি নারকেলের নাড়ু। প্রথমে নাড়ুর আধেক খেয়ে মনে হলো খুব একটা টেস্টি না, তাই মুখের অংশ বের করে টিস্যুতে নিয়ে ফেলে দিয়ে দ্বিধান্বিত চিত্তে বাকি আধেক আবার মুখে পুড়ে দিলাম!
এবার মনে হলো, না নাড়ু তো ভালই টেস্টি লাগছে! নিজেকে কষ্ট দিয়ে আর কি লাভ, তাই আরও একটা নাড়ু নিয়ে নগদে গিলে ফেললুম। পাশেই দেখলাম চিড়া ভাজা ও নোনতা স্টিক! একবার, দুবার, তিনবার চলতেই থাকলো... স্টিক শেষ করে ভাবলাম এবার নামাজ পড়ে ঘুমুতে যাই!
সকালের কাণ্ড বেমালুম ভুলে গিয়ে আবারও নতুন প্রেরণা পেলাম যখন রাতে দেখলাম একজন মুড়ি বিক্রি করছেন তাও বেশ পরিচ্ছন্নতার সাথে গ্লাভস পরে! চালককে বললাম ক্ষুধা লেগেছে কিন্তু খাওয়া ঠিক হবে না! চলে যাও! পরে বললাম, আচ্ছা থাক, যাও একটু নিয়ে আসো, খেয়েই দেখি! ক্ষুধা নিবারণ করা বেশি জরুরি!আত্মা যখন মুড়ি পেতে আনচান, তখন চালক এসে বললেন, স্যার ডিম আছে মুড়িতে কি ডিম দেবো? আমি ভাবলাম কই মুড়ি নিয়ে আসছে বুঝি, এদিকে দেখি ইন্সট্রাকশনস নিতে আসছে। বললাম, ভাই এসব আলাপ বাদ দিয়ে যা আছে সব দিয়ে দিতে বলো। পরক্ষণেই ২০ টাকার মুড়ির ঠোঙা আমার হাতে, ঠিক কতদিন পর মুড়িমাখা খেলাম মনে পড়ছে না! তবে এতটা তৃপ্তি নিয়ে বহুদিন খাইনি! নাড়ু ও মুড়ির জয় হোক।
তবে খেয়াল করে, এই জয়জয়কার যেন রেগুলার না হয়!
লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ