২৩ মার্চ, ২০২২ ২০:২৯

প্রিয়ভূমিতে নেতাকর্মী এক সারিতে, এক উচ্চতায়..!

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

প্রিয়ভূমিতে নেতাকর্মী এক সারিতে, এক উচ্চতায়..!

জয়পুরহাটে কর্মীদের সঙ্গে মাটিতে বসে সম্মেলন করলেন কেন্দ্রীয় নেতারা

আজ আমরা জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতাকর্মীরা এক সারিতে বসেছিলাম। মাথার উপরে সামিয়ানা, মাটিতে আবহমান বাংলার পাটের চট। নেতাদের জন্য কোন মঞ্চ নির্মিত হয়নি, নেতাকর্মীকে স্বাগত জানাতে একটি মাত্র তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। প্যান্ডেলে আমাদের আদর্শিক পুরুষ জাতির পিতা এবং বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কিছু ছবি ছিল। এমপি, অতিথি বা প্রার্থীদের কোন ছবি ছিল না। 

বয়সের ভারে শয্যাশায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ জয় বাংলার জীবনী শক্তিতে সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে সম্মেলনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন। সম্মেলন শেষে আমরা সবাই এক সাথে চটে বসে দুপুরে খাবার খেয়েছি। নেতাকর্মীদের জন্য খাবারে কোন ভেদাভেদ ছিল না। 

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাব্বুল আলামীন যে কয় দিন আমাকে এমপি রাখবেন; আমি আমাদের নির্বাচনী এলাকায় যেসব রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেব- কোথাও আমার জন্য কোন মঞ্চ করা যাবে না। আমার জন্য কোন তোরণ করা যাবে না, আমার জন্য কোন উপহার প্রদান করা যাবে না। প্রিয়ভূমি নির্বাচনী এলাকার বাইরে এসব নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়, কারণ সেসব ক্ষেত্রে আমার কর্তৃত্ব নেই। 

মুখে বলি, জনগণ দয়া করে আমাকে ভোট দান করে এমপি নির্বাচিত করেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীবৃন্দ আমার জন্য দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে জনগণের নিকট ভোট প্রার্থনা করেছেন। সেহেতু নির্বাচক জনগণের চেয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বড় হতে পারে না, কারণ আমরা জনগণের দয়ার দানে নির্বাচিত। কিন্তু বাস্তবে আমি এতোদিন সভা-সমাবেশে গিয়ে ব্যয়বহুল মঞ্চে লর্ডের মত বসতাম;  যা অনুচিত। জাতির পিতা শিখিয়েছেন, সবার ওপরে জনগণের মর্যাদা। 

আমার মাঝে চিন্তার উদ্রেক হয়েছে, আমার নির্বাচক জনগণ যেহেতু দাতা এবং আমি গ্রহীতা। সেহেতু আমি তাদের নীচে বসিয়ে ওপরে বসব না। এখন থেকে আমাদের নির্বাচনী এলাকায় আমরা এভাবেই সভা করব। জনগণ এবং খাদেম এক উচ্চতায় বসব।

লেখক : জাতীয় সংসদের হুইপ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর