২৩ জুলাই, ২০২২ ১৮:০১

সোহেল তাজ ‘আশা প্রকাশে’র পর তাজউদ্দীনের জন্মবার্ষিকীতে ফেসবুকে পোস্ট দিল আওয়ামী লীগ

অনলাইন ডেস্ক

সোহেল তাজ ‘আশা প্রকাশে’র পর তাজউদ্দীনের জন্মবার্ষিকীতে ফেসবুকে পোস্ট দিল আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মদিন আজ। ১৯২৫ সালের এই দিনে (২৩ জুলাই) গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এদিনে তাকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।

তাজউদ্দীনের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ অবশ্য আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজের আরেকটি পোস্টের নিচে এ নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তারপর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে তাজউদ্দীনকে নিয়ে পোস্টটি দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে বেলা ১১টার দিকে সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রাজনীতির সাতকাহন’ নিয়ে অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। তার নিচে বেলা ১টার দিকে সোহেল তাজ একটি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং স্বাধীনতাসংগ্রামকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে অন্তত একটা পোস্ট আশা করছিলাম।’

সোহেল তাজের মন্তব্যের ঘণ্টাখানেক পর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘২৩ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গতাজের জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।’

সোহেল তাজের মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়, তারা সাধারণত মহান নেতাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট দেয় দিনের সেই ভাগে, যখন ব্যবহারকারী বেশি থাকে (ট্রাফিক)। মন্তব্যের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে দেওয়া পোস্টটির লিঙ্ক দেওয়া হয়।

দেশের রাজনীতিতে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততার অনন্য প্রতীক তাজউদ্দীন আহমদ। আওয়ামী লীগের গঠনপ্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদেরও একজন তিনি। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দীন আহমদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনায় সফল ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নিহত হওয়ার পরদিন তাজউদ্দীন আহমদ গৃহবন্দী হন। ওই বছরের ২২ আগস্ট তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর অপর তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর