১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:২৭

এক জীবনে কি এর চেয়ে বেশি কিছু করা উচিত?

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

এক জীবনে কি এর চেয়ে বেশি কিছু করা উচিত?

ছবির বইগুলো আমার সংগ্রহের অংশ নয়। বিশ্বের বরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের ইংরেজিতে লেখা অথবা অন্যান্য ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনূদিত বইয়ের বাংলা অনুবাদ। অনুবাদের কাজটি আমারই করা। আমার আরও কিছু অনুবাদ আছে, যা ছবিতে নেই। আমার নিজের মৌলিক বই মাত্র ৩/৪টা। এখন নিজেকেই প্রশ্ন করি, এক জীবনে কি এর চেয়ে বেশি কিছু করা উচিত? 

অনুবাদ আমার পেশা নয়। জীবিকার জন্য এবং কমিটমেন্ট হিসেবে ছাত্র জীবনেই বেছে নিয়েছিলাম সাংবাদিকতা। ৪৫ বছরের পেশা জীবনে মাত্র ৩ মাস ভিন্ন কাজ করেছি। বই পড়ার আসক্তি অনুবাদের আবেগ সৃষ্টি করেছে, বইগুলো যাতে বাংলাভাষী পাঠকরা সহজে পড়তে পারেন। সবগুলো অনুবাদ যে মানসম্পন্ন হয়েছে, সে দাবি করবো না। মুদ্রিত হওয়ার পর আমি নিজেই আমার অনুবাদে প্রমাদ খুঁজে পেয়েছি।

বাংলাদেশে ধর্মীয় ও প্রচারধর্মী বই ছাড়া সাহিত্য ও ইতিহাসের বইয়ের বাজার সীমিত। তবুও কিছু বই, বিশেষ করে ইতিহাস ও ইতিহাস-ভিত্তিক উপন্যাস ও গল্প, আত্মোন্নয়নমূলক লেখা পাঠ করা অপরিহার্য মনে করি। উপমহাদেশের ইতিহাস নিয়ে প্রচুর কাজ করেছেন স্কটিশ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল, তার বইয়ের অনুবাদ, জালালুদ্দীন রুমির কবিতা ও উপদেশের সংকলন, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী পাঁচ সাহিত্যক- মিশরের নাগিব মাহফুজ, সার্বিয়ার আইভো অ্যানড্রিচ, তুরস্কের ওরহান পামুক, ত্রিনিদাদের ভি এস নাইপল ও কলম্বিয়ার গ্যাব্রিয়ের মার্কেজের কিছু বইয়ের অনুবাদ করেছি, যা শুধু সাধারণ পাঠক নয়, বাংলাদেশের লেখকদের জন্যও পাঠ করা জরুরি। 
শুধু আমার অনুবাদ করা বই নয়, আরও অনুবাদক নিষ্ঠার সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন, তাদের অনুবাদ পড়ার জন্যও বলি। ব্যক্তিগতভাবে অনুবাদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সেরা সাহিত্যকর্ম অনুবাদের দায়িত্ব নিতে পারতো বাংলা একাডেমি। কিন্তু তারা এ দায়িত্ব পালন করতে দুঃখজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অনুবাদের মান ঠিক রাখতে বড় বড় প্রকাশনাগুলোর থাকতে পারতো সম্পাদকমন্ডলি, যা কারও নেই। ফলে বহু মানহীন অনুবাদ বাজারে স্থান করে নিচ্ছে।

যারা আমার অনুবাদ পড়তে আগ্রহী তারা অমর একুশে বইমেলায় বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থার প্যাভিলিয়ন স্টলে বইগুলো পাবেন।

নালন্দা, প্যাভিলিয়ন নং: ৫; আহমদ পাবলিশিং হাউস, স্টল নং: ৩২ত-৩২৬, পেন্ডুলাম, স্টল নং: ৫৪২-৫৪৩; অনন্যা, প্যাভিলিয়ন নং: ২৮; বাতিঘর, স্টল নং: ৩৬৮-৩৭২; একাত্তর প্রকাশন (প্রচ্ছদ প্রকাশন), স্টল নং: ৩০৪, স্বরে অ, স্টল নং:১৭২; মাতৃভাষা প্রকাশ (১৫ ফেব্রুয়ারি পর আসবে খাজা আহমদ আব্বাসের আত্মজীবনী), স্টল নং: ১৩৪-১৩৬) এবং কারুবাক, স্টল নং: ২০২।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর