ইহা যাহার জন্য প্রযোজ্য....! যখন জানিতে পারিলাম অন্যের লেখা ঈষৎ পরিবর্তন করিয়া আপনি নিজের বলিয়া কপি, পেস্ট মারিয়া দেন! ঠিক সেইদিন হতে আপনার প্রতিটা লেখাকে আমার নিকট অন্যের বলিয়া ঠাহর হওয়া শুরু হইছে! ইহাকে আপনি আমার দোষ বলিয়া গণ্য করিবেন না বলিয়া আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি!
উপর্যুক্ত সমস্যার চাইতেও তীব্রতর সমস্যা হইলো আপনার মুখবইয়ের সেই সংগৃহীত লেখায়, আমার প্রশংসাসূচক বাক্য আপনি গ্রহণ করিয়া আমাকে প্রগাঢ় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিয়াছিলেন! যাহা মন্তব্যকারী হিসাবে আমাকে তুষ্ট করিয়াছিল! এই যে নৈতিকতার এত জয়ধ্বনি গান আপনি, ইহাও যে এক বিশাল বিপর্যয় তাহা মানিয়া লইবার শক্তিটুকু আছে তো? নাকি সেই বোধটুকুও হারাইবার পথে?
স্বল্প শিক্ষিত মানুষজনের এমন মনোবৃত্তিকে যদিও সঠিক বলিয়া জ্ঞান করি না, তথাপিও চাইলে তাঁদের অক্ষমতার এই অবস্থানটুকুকে একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখাই যায়! কিন্তু আপনাকে কিভাবে ও কোন আঙ্গিকে বিবেচনায় আনিবো, তাহাই মিলাইতে পারিতেছি না! উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাইয়াছেন, মিলিয়াছে সামাজিক অবস্থানও, ইহা সত্ত্বেও কিসের তাড়নায় আপনি/ আপনারা লোভাতুর হইয়া উঠিতেছেন, ঠিক মিলাইতে পারিতেছি না!যথার্থই বুঝিয়াছি, সন্দেহের দানা জোট বাঁধিতেছে এই ভেবে যে, আমি আপনাকেই ঠাহর করিতেছি কিনা! নৈতিক বিপর্যয়ের যে অংশীদারিত্ব লভিয়াছেন তাহার জন্য একটু অস্বস্তি ভোগ করা আপনার জন্য যথার্থ বৈকি!
লেখক : এডিসি, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ