অফিসের জুনিয়র এক সহকর্মী অসুস্থ হয়ে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি! অফিস থেকে ফেরার পথে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের দিকে পা বাড়াতেই তিন পাশ থেকে চিৎকারসহ কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম!
একদিকে বাবাকে হারিয়ে সন্তান, অন্যদিকে ভাইকে হারিয়ে বোন এবং স্বজনকে হারিয়ে আরও অনেকের কান্নার রোল উঠেছিল।
অনেক অনিশ্চিত বিষয়ের সাথে সুনিশ্চিত একটি বিষয় হলো মৃত্যু! অহংকার তাও কমে না আমাদের, অথচ সেটা দেখানোর আমরা কেউ না!আমি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের কান্না দেখছিলাম! খুব অসহায় যে বোনটা কাঁদছিল ওর আর আমার চোখের পানি একই রকম! এমনকি যে সন্তান পিতার জন্য হাউমাউ করে কান্না করছিল তাঁর আর আমার রক্তও যে এক রকমের এ বিষয়েও কোনো সন্দেহ নাই আমার!
হাসপাতাল দেখলেই আমার মা, বাবার কথা মনে পড়ে। দু'জনকেই হাসপাতালে হারিয়েছিলাম কিনা! আহত মনকে প্রবোধ দিয়ে সামনে পা বাড়ালাম! অজানা মানুষের কষ্ট আমার কাছে ইফতারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তো নয়, তাই দ্রুত হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠলাম! চলতে চলতে মনে পড়লো, অন্যদিন আবার অন্য কারো মৃত্যু অথবা অন্য কারো বেঁচে যাওয়া, এভাবেই চলবে জীবনচক্র!
জীবন নিয়ে যারা হতাশ হয়ে যান তাঁরা দয়া করে হাসপাতালে যেয়ে অসহায় মানুষগুলোর বেঁচে থাকার তাড়না দেখেন একবার! জীবনের মানে হয়তো আরও অর্থবহ হয়ে উঠে ধরা দেবে আপনাদের কাছে।
লেখক : এডিসি, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশন।
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ