১. সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংক, ট্রুং মাই ল্যান। এদের কাহিনীটাকে কেনো জানি একটুও অচেনা মনে হলো না। মনে হলো- চেনাজানা ঘটনাই তো, প্রক্রিয়াটাও তো চেনা জানাই। আপনাদেরও কী এমন মনে হয়েছে!
২. ব্যাংক লুটের কারনে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া ভিয়েতনামের ধনকুবের ট্রুং মাই ল্যান এর কথা বলছিলাম। ব্যাংক লুট! কিংবা জালিয়াতি। যেভাবেই বলি না কেন, এই ধরনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান পৃথিবীর আর কোনো দেশেই নেই। তবে এই ধরনের অপরাধের সাথে ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের সংশ্রবের উদাহরণ নতুন কিছু নয়। ট্রুং এর পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের যোগসাজস। কী চমৎকারভাবেই না তিনি ব্যাংকটির ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ কুক্ষীগত করেছিলেন।
৩.ভিয়েতনামের এই হোয়াইট কলার ক্রাইমের ঘটনাটি আজ সারা দিন ধরেই পশ্চিমা মিডিয়াকে গরম করে রেখেছে। কানাডা- আমেরিকার মিডিয়ায় কতো ধরনের পর্যালোচনাই না হয়েছে এই ঘটনা নিয়ে। আচ্ছা, বাংলাদেশের কোনো টেলিভিশনের টক শোতে কী এই ঘটনাটা আলোচিত হয়েছে। কোনো মিডিয়া কী এ নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে!৪.ট্রুং এর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া অবশ্যই একটি বিরল ঘটনা। কিন্তু ব্যাংক লুটপাটের প্রক্রিয়াটা, ক্ষমতার যোগসূত্র- সেগুলো মোটেও বিরল নয়। একেবারেই চেনা জানা। শুধু ট্রুং এর পরিণতিটার হয়তো অন্য কোনো ক্ষেত্রে পূণরাবৃত্তি ঘটবে না।
লেখক: প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ