শিরোনাম
১৩ মার্চ, ২০২১ ২০:৩৭

বিলুপ্তির পথে ঝালকাঠির শঙ্খশিল্প

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি:

বিলুপ্তির পথে ঝালকাঠির শঙ্খশিল্প

কালের বিবর্তণে হারিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির শঙ্খশিল্প। এক সময় ঝালকাঠি শহরে অনেক শাখা শঙ্খের দোকান ছিলো। এখন মাত্র ৪টি দোকান রয়েছে। শঙ্খ শিল্পের কারিগররা পেশা পরিবর্তন করে চলে যাচ্ছেন অন্য পেশায়। কাচাঁমালের মূল্যবৃদ্ধি ও ভ্যাট দিয়ে তাদের যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। 

সংশ্লিষ্টদের আশংকা এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই সম্ভবনাময় এই শিল্প বিলীন হবে ঝালকাঠি থেকে। তবে বিসিক কর্তৃপক্ষ  বলছেন, তারা যদি ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তাহলে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

এক সময় শঙ্খশিল্পের জমজমাট বাজার ছিলো ঝালকাঠি শহরে। ২২ টি শঙ্খ বনিক পরিবারের মালিকানাধীন দোকান ছিলো ২০/২৫টি। জেলার বাইরে থেকেও অনেকে আসতেন এখানে শাঁখার তৈরী বিভিন্ন অলংকার কিনতে। কিন্তু সে অবস্থা এখন আর নেই। শঙ্খ শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার। বাকি পরিবারের সদস্যরা অন্যন্য পেশায় চলে গেছে। কালের বিবর্তণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহি এ পেশা। 

ঝালকাঠি শহরে এখন মাত্র ৪টি শঙ্খের দোকান রয়েছে। শঙ্খ শিল্পের কারিগররা জানান, আগে শ্রীলংকা থেকে তাদের কাচামাল আসতো, এখন আসে ভারত থেকে। এ কারণে ভ্যাট মিলিয়ে তাদের কাঁচামাল সংগ্রহের খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া তারা কোনো ঋণও পাচ্ছেন না। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতাকারী প্রতিষ্ঠান বিসিকের সাথেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। যদিও  বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছেন শঙ্খ শিল্পিরা তাদের প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত নয়। তবে তারা ইচ্ছে করলে নিবন্ধিত হয়ে ঋণ চাইতে পারেন। 

কারিগররা জানান, প্রতি জোড়া শাখার চুরি তারা  ৩শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি করেন। স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে যেটা ডিজাইন করা হয় সেটির মূল্য নেন ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা। তাদের সংগ্রহ করা ১ কেজি কাঁচামালের দাম পড়ে ২৫০ টাকা। এছাড়া ডিজাইন করা কাঁচামালের মূল্য প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। কাঁচামালের দাম বেশী হওয়ায় তারা লাভ করতে পারছেন না। তবে এ পেশার সাথে জড়িতরা মনে করেন, তারা যদি কম মূল্যে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারেন এবং সহজ শর্তে ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ঋণ পান, তাহলে তারা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।  

ঝালকাঠি বিসিক উপ-ব্যবস্থাপক মো: শাফাউল করিম বলেন, শঙ্খ শিল্পিরা ঋণ চাইলে এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর