২২ মে, ২০২১ ১৯:১৮

আঙুর বাগানে স্বপ্ন দুলছে আব্দুর রশিদের

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ:

আঙুর বাগানে স্বপ্ন দুলছে আব্দুর রশিদের

ঝিনাইদহের মহেশপুরের মাটিতে এই প্রথম আব্দুর রশিদ নামে এক কৃষক আঙুর চাষ করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। মাত্র সাত মাসের মধ্যেই কৃষক আব্দুর রশিদের আঙুর বাগানে ফল ধরা শুরু করে। তিনি আশা করছেন, প্রথমবারেই  কয়েক মন আঙুর সংগ্রহ করতে পারবেন এবং তার বাগানের আঙুর সুস্বাদু হবে। আঙুর গাছে ফল আসার পর পাকতে সময় লাগে ৩/৪ মাস। 

আব্দুর রশিদ মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে কৃষক আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে সবজি ও ফল চাষ করে আসছে। এ কারণে এলাকায় তিনি আদর্শ কৃষক হিসেবেও পরিচয় লাভ করেছেন। নতুন নতুন ফল ও সবজি লাগানোই হল তার শখ। সম্প্রতি সোনালী রঙের তৃপ্তি নামে নতুন জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলনও পেয়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।

কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, গত সাত মাস আগে শখ করে দশ কাঠা জমিতে ছমছম, সুপার সনিকা, কালো জাতসহ কয়েকটি জাতের ৭৫টি আঙুরের চারা রোপন করা হয়। আর এই চারা গুলো পার্শ্ববর্তী ভারত এবং ইতালি থেকে সংগ্রহ করেন। সাত মাস পরিচর্যার পর অধিকাংশ গাছেই ব্যাপক আঙুর ফল ধরে। প্রতিটি গাছে ৫/৭ কেজি করে আঙুর ধরেছে। তিনি আশা করছেন তার বাগানের ৬০টি গাছ থেকে ২৫০/৩০০ কেজির মতো আঙুর সংগ্রহ করতে পারবেন। 

কৃষক আব্দুর রশিদ আরো বলেন, মহেশপুর উপজেলায় এই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে আঙুর চাষ শুরু হলো। এই চাষের পাশাপাশি পাচ বিঘা জমিতে মাল্টা,কমলা লেবু চাষও করেছি। তিনি জানান, বিভিন্ন সময় ইউটিউবে আঙুর,তরমুজ,কমলা চাষের ভিডিও দেখেই আগ্রহী হয়েছি। 

আব্দুর রশিদ বলেন, আমার বাগানে রোপনকৃত আঙুর পরীক্ষা করার জন্য আমি নিজে খেয়ে দেখেছি খুব সুস্বাদু। আগামীতে আঙুর চাষ সম্প্রসারণে কয়েক বিঘা জমিতে আঙুর গাছের চারা রোপন করা হবে। 

মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মো: হাসান আলী জানান, মহেশপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী। এর আগে এই এলাকার কৃষকরা আম, পেয়ারা, বাউকুল, আপেলকুল, তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। এছাড়া ২০/২৫টি নার্সারিতে এই এলাকার কৃষকরা আঙুর চাষ দেখেছে। কিন্তু কোনো কৃষক সফল হতে পারেনি। কারও নার্সারিতে ফল পর্যন্ত ধরেনি। আবার কোন কৃষকের নার্সারিতে ৩ থেকে ৪ বছর পর ফল আসলেও সেই ফল টক হয়েছে।  তবে কৃষক আব্দুর রশিদ তার ১০ কাঠা জমিতে কয়েক প্রজাতির আঙুর গাছের চারা রোপন করেন। সেখানে ৭ মাস পর আঙুর ধরেছে এবং সেটি ব্যাপক ভাবে ফলন আসবে বলে আসা করছি। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর