১০ আগস্ট, ২০২১ ১৬:১২

শ্রীমঙ্গলে হাইব্রীড বাবু জাতের পেঁপে চাষে কৃষকের সাফল্য

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গলে হাইব্রীড বাবু জাতের পেঁপে চাষে কৃষকের সাফল্য

কৃষক আলী হোসেন লিটন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সিন্দুরখান ইউনিয়নের খোয়াজপুর গ্রামে কৃষক আলী হোসেন লিটন। তিনি এবার পরীক্ষামূলক এক বিঘা জমিতে হাইব্রীড বাবু জাতের পেঁপের চাষ করেছিলেন। ফলন খুব ভাল হয়েছে। দামও পাচ্ছেন ভাল। তার বাগানে পেঁপের ফলন দেখে উৎসাহিত হচ্ছে এলাকার অন্য কৃষকরাও। 

এ জাতের পেঁপে চাষ করলে গাছে তেমন একটা কীটনাশক দিতে হয় না। এটি হলুদ মোজাহীক ভাইরাস সহনশীল জাত। জানুয়ারীর শেষ সাপ্তাহে জমিতে চারা রোপণ করেন লিটন। মে মাসের প্রথম সাপ্তাহে গাছে ফুল ও ফল আসে। জুলাই মাসের শেষ দিকে গাছ থেকে পেঁপে উপযুক্ত হয়। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ১২০০ কেজী পেঁপে বিক্রি করেছেন। 

প্রতি কেজী ২১ টাকা করে তিনি এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ২০০ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। এভাবে তিনি একটানা আট মাস গাছ থেকে পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন। সবমিলিয়ে তার বিক্রি আসবে প্রায় একের অধিক লাখ টাকা  আর এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৮ হাজার টাকার মতো।

জানা যায়, বাবু জাতের পেঁপে কৃষকরা সারা বছর চাষ করতে পারবেন। আর ভালভাবে পরিচর্চ্ছা করলে একেকটি পেঁপের ওজন হবে দেড় থেকে দুই কেজী। একর প্রতি ফলন হবে ৩০ থেকে ৪০ টন। একটি গাছ থেকে পাওয়া যাবে ৩০ থেকে ৪০ কেজী পেঁপে। 

পানি নিস্কাশন ও সেচের সুবিধা আছে এমন দোয়াশ বেলে দোয়াশ মাঠিতে এই জাতের পেঁপে চাষ করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে মাত্র ১১.৫৫ গ্রাম বীজ লাগে। কাঁচা ও পাঁকা দুই অবস্থায়ই বাজারজাত করা যায়। পাঁকা পেঁপের মিষ্টতার পরিমাণ হয় ১৩ থেকে ১৪ ভাগ। এর শাঁস হয় হলুদ রঙ্গের। পুরত্ব ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার। 

কৃষক আলী হোসের লিটন বলেন, ‘পেঁপে চাষ করে প্রথম বছরই এতো ভাল ফলন হবে আশা করিনি। ফলন দেখে আমি খুব খুশি। দামও ভাল পাচ্ছি। অন্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ভালভাবে চাষ করতে পারলে পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। সঠিক নিয়মে চাষ করতে পারলে কৃষকরা লাভবান হবেন।’ 

 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর