বাংলা ভাষা চলিত রীতি প্রবর্তনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রমথ চৌধুরী। পাশাপাশি সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত তা নিয়ে নিজের স্পষ্ট মতামত তুলে ধরেছিলেন। প্রমথ চৌধুরী তার বিখ্যাত রচনা সাহিত্যে খেলায় লিখেছিলেন, ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া, কারও মনোরঞ্জন করা নয়। এ দুয়ের ভিতর যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ আছে, সেইটি ভুলে গেলেই লেখকেরা নিজে খেলা না করে পরের জন্যে খেলনা তৈরি করতে বসেন। সমাজের মনোরঞ্জন করতে গেলে সাহিত্য যে স্বধর্মচ্যুত হয়ে পড়ে, তার প্রমাণ বাংলাদেশে আজ দুর্লভ নয়।’
১৯৪৬ সালের এই দিনে প্রয়াত হন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রাবন্ধিক, কবি ও লেখক। তার জন্ম ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট। তার পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে।
সবুজপত্র পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে চলিতরীতি প্রবর্তন করেন প্রমথ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে গল্পকার ও সনেটকার হিসেবেও তার বিশিষ্ট অবদান রয়েছে। তবে তিনি পড়াশুনা করেছেন ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে এমএ ডিগ্রী লাভ করার পর ব্যারিস্টারি পড়তে বিলাত যান। রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ইন্দিরা দেবীকে বিয়ে করেছিলেন।প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল। তার উল্লেখযোগ্য রচনাসমগ্র তেল-নুন-লকড়ী, বীরবলের হালখাতা, রায়তের কথা , প্রবন্ধ সংগ্রহ, চার-ইয়ারী কথা। তিনি বাংলা সাহিত্যে ইতালিয় সনেট এর প্রবর্তক। তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আছে সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা