২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৬

নওগাঁয় মিশ্র ফল চাষে সফলতা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ:

নওগাঁয় মিশ্র ফল চাষে সফলতা

শুধু চাকরি নয়, কৃষি কাজ করেও জীবনের পথ পরিবর্তন করা যায়। একজন শিক্ষিত যুবক কামরুল হাসান তুষার তা প্রমাণ করে দিলেন। করোনার বৈশ্বিক পরিবেশে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তুষার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বালুভরা ইউপির প্রধানকুন্ডি গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আল এমরানের ছেলে। ৩ ভাই পরামর্শ ক্রমে ৪৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন মিশ্র ফলজবাগান। নাম দেওয়া হয় রাইয়্যান এগ্রো ফার্ম। বাগান শুরু এখনও দু’বছর হয়নি। প্রথম বছরেই বড়ই বিক্রির সাফল্যে আশার আলো দেখতে পান ইঞ্জিনিয়ার তুষার। 

১২ বিঘা জমিতে প্রায় ২০ লাখ টাকা বড়ই বিক্রি করেছেন। চলতি মৌসুমে আড়াইশ ক্যারেজ মাল্টা বিক্রি করেন। প্রায় ৩শ মণ পেয়ারা বিক্রি করেন। মাল্টা বেচা কেনা প্রায় শেষের দিকে। রয়েছে শুধু পেয়ারা।

জানা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজ বেষ্টনীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক পরিবেশ। যা গ্রামের মেহনতী মানুষকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। উৎসাহ পেয়ে আশপাশের কয়েকজন বড়ই বাগান তৈরি করছে। বাগানে দেখা যায় কিছু জমিতে মাল্টা পেয়ারার গাছ বড় হয়ে গেছে। আবার কিছু জমিতে গাছ ছোট রয়েছে। এক দেড় ফিট লম্বা পেয়ারা গাছ হাফ কেজি থেকে ৬শ/ ৭শ গ্রাম ওজনের মিষ্টি পেয়ারা ধরে আছে।

তুষার জানান, বাগান তৈরিতে আমি ভবিষ্যতে আশার আলো দেখতে পেয়েছি। কেউ যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে পারে অবশ্যই সফল হবে। শ্রমিকের সাথে নিজেকেও শ্রমিক হতে হবে। আমার বাগানের মাল্টা, পেয়ারা এলাকায় ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোনে ফলের অর্ডার করেন। সে মোতাবেক ডেলিভারি দেওয়া হয়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, আমরা সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। মাল্টা কমলা ও লেবু জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। বিদেশি ফল পরিহার করে দেশীয় ফলে নির্ভরশীল হতে হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন জানান, আমি বাগানটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে নানা প্রজাতির ফল রয়েছে। খেতেও খুব মিষ্টি। বাগান মালিকের উৎসাহ উদ্দীপনা এলাকাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করবে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর