রংপুরে বসন্ত বাতাসে দোল খাচ্ছে আমের মুকুল। বিশেষ করে হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের দিকে তাকিয়ে চাষিরা আগাম স্বপ্ন বুনছেন। মিঠাপুকুরের আম চাষি শাহিনুল ইসলাম বকুল বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের আমের মুকুল এলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভাল হবে। বিশেষ করে হাড়িভাঙ্গা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রংপুরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আম চাষ হয়। এর মধ্যে হাড়িভাঙ্গা আম চাষ হয় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। ৪ মাসের মধ্যে আম কৃষকের ঘরে উঠে। গত মৌসুমে হাঁড়িভাঙ্গা আম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। এতে রংপুরের ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে। এতে চাষিরাও উৎসাহিত হয়েছেন। কৃষকরা বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আম বেশি দিন সংরক্ষণে রাখা যায় না। এই আম কীভাবে বেশি দিন সংরক্ষণে রাখা যাবে- বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। তাহলে এই আম বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।
রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জে গেলে চেখে পড়বে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধু হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান। যেদিকে দু’চোখ যায়, সেদিকে শুধু বাগান আর বাগান। এমন কোনো বাড়ির আঙিনা, উঠান কিংবা ফসলি জমি নেই যেখানে আমের গাছ রোপণ করেননি। এসব বাগানে এখন আমের মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে। পথ চাষিরা মুগ্ধ নয়নে আম বাগানের দোলা খাওয়া মুকুল দেখে বিমোহিত হচ্ছেন। সব মিলিয়ে প্রকৃতি বিরূপ না হলে এবারও আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান।বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
