২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১২:২৮

আদেশেই সীমাবদ্ধ, ঠাকুরগাঁওয়ে ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডে সয়লাব

আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

আদেশেই সীমাবদ্ধ, ঠাকুরগাঁওয়ে ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ডে সয়লাব

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে বাংলায় সাইনবোর্ড লিখা বাধ্যতামূলক। আট বছর আগে এমন নির্দেশনা থাকার পরও ঠাকুরগাঁও শহরের কম বেশি অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনও শোভা পাচ্ছে ইংরেজিতে লিখা সাইনবোর্ড। কালো কালিতে ইংরেজি সাইনবোর্ড মুছে দেয়ার মতো আন্দোলন হলেও বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি এখনো।

শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ইংরেজির পাশাপাশি ছোট অক্ষরে বাংলা ভাষার ব্যবহার করছে। তবে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাইনবোর্ডে বাংলার ব্যবহার উপেক্ষিত। বিভিন্ন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড বড় করে ইংরেজিতে লিখা হচ্ছে। এমনকি বড় করে বাংলায় লিখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটা মানছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। এভাবে একদিকে যেমনিভাবে নিজের ভাষার প্রতি অবমাননা, অপরদিকে আইন অবমাননা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেট, সব দফতরের নামফলক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’ একই বছরের ২৯ এপ্রিল হাইকোর্টের অন্তর্বতীকালীন আদেশে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহদাৎ হোসেন বলেন, ‘শুধু ভাষার মাসে এবং ডিসেম্বরে সাইবোর্ড এ বাংলা লেখার জোর দাবি ওঠে। বছরের বিভিন্ন সময় এমন কোনো কার্যক্রম থাকে না, থাকলে সবাই সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে নিত। ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার সময় সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার শর্তজুড়ে দেয়া দরকার।’

সাংবাদিক আবু তোরাব মানিক বলেন, ’মাতৃভাষার প্রতি অবশ্যই আমাদের সম্মান জানানো উচিত। মাতৃভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। আর প্রশাসনের উচিত জরুরি ভিত্তিতে ইংরেজি লেখা সাইনবোর্ড অপসারণে অভিযান পরিচালনা করা।’

সাংবাদিক মজিবর রহমান খাঁন বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে শুধু অন্তরে লালন করলেই হবে না, বাস্তবেও তার প্রতিফলন দেখাতে হবে। হাই কোর্টের আদেশ থাকার পরেও ইংরেজিতে সাইবোর্ড লেখা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন তদারকি নেই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘সাইনবোর্ড তৈরিতে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা আছে। সেটি যারা মেনে চলেননি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর