তুলনামুলক খরচ কম, ফলন বেশি, বারোমাস ফল পাওয়া যায়; সাথে বাজারেও সবসময় চাহিদা থাকে। কথাগুলো বারোমাসি সিডলেস ও এলাচি জাতের লেবু প্রসঙ্গেই বলছেন, গৌতম দাস। তার মতে, এই লেবু চাষ করলেই লাখোপতি হওয়া যায় সহজে! এবার রমজানেই ৮০ হাজার টাকার বেশি লাভ থাকবে বলে আশা করছেন দিনাজপুর সদরের চকরামপুর বাজার এলাকার এই লেবু চাষী।
বাণিজ্যিকভাবে লেবু চাষ ছাড়াও একই সাথে চারা তৈরি করে তা বিক্রি করে অধিক আয়ও করছেন গৌতম। স্বল্প সময়ে অধিক লাভ ও লেবুর চাহিদা বাড়ায় দিনাজপুরে চাষও বেড়ে চলেছে বলে জানান তিনি। তার দাবি, চাকরির পিছনে না ছুটে লেবু বাগান করেও ভাগ্য বদলাতে পারেন যে কেউ।
গৌতম দাস বলেন, ‘লিচু কিংবা আম বাগান, ধানের ক্ষেতের চারপাশে বাউন্ডারি বেড়া দেয়ার জন্য এই সিডলেস ও এলাচি জাতের বারোমাসি লেবু চাষ করলে অনায়সে তুলনামুলক কম খরচে অধিক লাভবান হতে পারবে যে কেউ। কেউ ২৪ শতক জমিতে শুধু এই লেবু চাষ করলেই কমপক্ষে খরচ বাদেই বছরে ১ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। এই চাষে ঝামেলা কম। খরচ নাই বললেই চলে। অধিক ফলনের জন্য বছরে ৩বার সার প্রয়োগ করলেই হবে। একবার করলেও চলবে। আর পাতা মুড়ানিসহ রোগ নিরাময়ে মাসে পারলে একবার স্প্রে করলেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫বছর আগে এলাচি জাতের ২০টি চারা আমার বাবার বন্ধু এনামুল হকের কাছ থেকে এনে রোপন করি। পরে আরও ১২০টি চারা আনি। চারাগুলো আলাদা জমিতে নয়, আমাদের ৭২ শতক লিচুর বাগানের চারপাশে বাউন্ডারি বেড়া দেওয়ার মতো করে রোপন করি। এরপর গত ৮মাস আগে সিডলেস জাতের আরেকটি বারোমাসি লেবুর চারা রোপন করি। গত বছরে ২লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেছি এবং চলতি রমজান মাসেই ৮০ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করে করতে পারবো। বর্তমানে লেবু পাইকারি প্রতিপিচ ৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বাড়ায় চারাও বিক্রি শুরু করেছি। বর্তমানে গুটি কলম চারা প্রতিটি ৩০টাকা এবং লেবুসহ চারা গাছ প্রতিটি ৫০টাকায় বিক্রি করছি।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল
