২৬ আগস্ট, ২০২২ ১৭:২৭

চন্দ্রডিঙ্গা: মায়াবী পাহাড়ের সুখ-অসুখের গল্প

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

চন্দ্রডিঙ্গা: মায়াবী পাহাড়ের সুখ-অসুখের গল্প

গ্রামগুলোর মাথার ওপর ছায়া হয়ে আছে গারো পাহাড়, পায়ের কাছে অবারিত সবুজের সমারোহ; তার মাঝে যেন থেমে থেমে আছে ছোট ছোট বাড়িঘর, নিচ্ছে খানিকটা বিশ্রাম। আছে জলধারা, কুলুকুলু শব্দে কখন তার শান্ত বয়ে যাওয়া, কখনও আবার উচ্ছল। এই জনপদকে দেখে যে কেউ শিল্পীর আঁকা মায়াবী ছবি ভেবে থমকে যেতেই পারেন। 

নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর দৃশ্যপট এমনই। চোখও জুড়ায়, মনও ভোলে। যদিও এই সুন্দরের কাছে যাওয়ার পথটা অতোটা সুগম নয়। তবুও সৌন্দর্যপ্রেমী চোখ রোজ বন্ধুর পথ মাড়িয়েই সেখানে ছোটে। কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনয়নের পাঁচগাও সীমান্তে আপন মহিমায় অনেক কাব্য গড়ে ওঠে।

সরেজমিনেও দেখা যায়, উপজেলাটির ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে রংছাতি, লেঙ্গুরা এবং খারনৈ জুড়েই পাহাড়ি সীমান্ত। প্রায় অর্ধ শতাধিক কিলোমিটার সীমানা জুড়ে ছড়িয়েছিটিয়ে আছে পাহাড়ি প্রকৃতির নানা রূপ-রঙ।
 
রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাও সীমান্তে রয়েছে ‘চন্দ্রডিঙ্গা’ পাহাড়। কথিত আছে চাঁদ সওদাগরের ডুবে যাওয়া ডিঙার কাহিনী ধরেই পাহাড়টির এমন নামকরণ। পাহাড়টি দেখতেও কিছুটা নৌকার মতো। গল্পে শোনা সেই চাঁদ সওদাগরে ডিঙার সাথে মিল খুঁজতেই হয়তো দূর-দূরান্ত থেকে বন্ধুর পথ মাড়িয়েই এখানে আসেন ভ্রমণ পিপাসুরা। 
 
যদিও স্থানীয় এবং পর্যটকদের অভিযোগ, ‘চন্দ্রডিঙায় যাওয়ার রাস্তা উন্নত না করার পেছনের কারণ চোরাচালান। কারণ মানুষ বেশি আসলে এবং পথ সহজ থাকলে এগুলো আর করা যাবে না।’
  
তবে রংছাতির ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খান পাঠান জানান, সড়কটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় এমন অসুবিধা হচ্ছে। তবে চন্দ্রডিঙ্গা সড়কের ভালো ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

চন্দ্রডিঙ্গা দিয়ে কোন ধরনের চোরা চালান হয় না বলেও দাবি করেছেন এই জনপ্রতিনিধি।  
 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর