২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৩০

বাজরিগার পাখি পালনে সংসারে স্বচ্ছলতা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বাজরিগার পাখি পালনে সংসারে স্বচ্ছলতা

শখের বশে পাখি পালনের পর অনেকে লাভজনক হওয়ায় বিভিন্ন রং-বেরংয়ের বিদেশী পাখির খামার দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তুলেছেন। এই পাখি পালনেই অনেকের সংসারের স্বচ্ছলতাও ফিরেছে। এরকম একজন পাখি পালন করেই সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন দিনাজপুরের আব্দুল বারেক। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সুদর্শন টিয়া পাখির মত দেখতে ‘বাজরিগার’ পাখি পালন করেন তিনি।

এক সময় আব্দুল বারেক কৃষি কাজ করতেন, কিন্তু সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে না পারায় এই বাজরিগার পাখি পালন শুরু করেন। বর্তমানে ২০০ জোড়া পাখি রয়েছে তার খামারে। বাড়ির একটি ঘরেই এই খামার গড়ে তোলেন দিনাজপুর সদরের চেহেলগাজী ইউপির রানীগঞ্জ মোড় এলাকার আব্দুল বারেক। তিনি পাইকারদের কাছে এই পাখি বিক্রি করেন। একসময় এই পাখি বিক্রি করে মাসে ১৬-২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। তবে এখন অনেকটা আয় কমেছে এমনটাই জানান আব্দুল বারেক। 

আব্দুল বারেক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এই বাজরিগার পাখির বাজার ভালো আছে। পাখির খাদ্যের দাম বেড়েছে। এতে কিছুটা ক্রেতা কমে গেছে। তবে যে কেউ এটা পালন করে ১৫-১৬ হাজার টাকা মাসে আয় করতে পারবেন। 

তিনি আরও জানান, গত ৮ বছর ধরে এই বাজারিকা পাখি পালন করে আসছি। আমার বাড়ির এক ঘরে এই খামার করেছি। ঘরে বিভিন্ন স্থানে মাটির কলস বসানো হয়েছে। এছাড়াও ঘরের মধ্যে পাখি বাস করার পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। সবসময় কিচিরমিচির শব্দে তারা মেতে থাকে। মাটির কলসে তারা ডিম পাড়ে। অনেকে দেখতে আসে আবার কেউ এটি পালনে কিনতে আসে। বর্তমানে পাখির খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ৭-৮ হাজার টাকা আয় এখন। এরপরেও আমার ৪ জনের সংসারে পূর্বের চেয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে এই পাখি। তবে এর পাশাপাশি আমার মৌ-খামারও রয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর