২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:২৩

পর্যটকদের কাজে আসছে না নেত্রকোনার রেস্টহাউস

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

পর্যটকদের কাজে আসছে না নেত্রকোনার রেস্টহাউস

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

পর্যটন এলাকায় নেত্রকোনা জেলা পরিষদের উদ্যোগে কোটি টাকায় নির্মাণ করা রেষ্টহাউজ কাজে আসছে না পর্যটকদের। নির্মাণের দুই বছর পার হয়ে গেলেও উদ্বোধনের অযুহাতে নষ্ট হচ্ছে রঙসহ আসবাবপত্র। 

এদিকে, নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের বিজয়পুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা দিন দিন মুখ ফেরাচ্ছেন আবাসন সংঙ্কটের কারণে। অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় একদিনে সব সৌর্ন্দয্য দেখে ফেরা যায় না বলে। 

জানা গেছে, মেঘালয়ের পাদদেশে দুই সীমানার সন্নিকটে জিরো পয়েন্টের এক কিলোমিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হয় নেত্রকোনা জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্পের উল্টোদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্গাপুর উপজেলায় বিজয়পুর ডাকবাংলোর কাজের উদ্বোধন করেন মানু মজুমদার। কিন্তু গত দুইবছর ধরেই তালাবদ্ধ পড়ে আছে নির্মিত বাংলোটি। 

জেলা পরিষদের তত্ববধানে এবং অর্থায়নে প্রাক্কলন ব্যায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ১২০০০ টাকার মধ্যে চুক্তিমূল্য ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫৯ টাকায় কাজটি করেছেন মেসার্স বাসেত প্রকৌশলী নামের ঠিকাদার। কিন্ত কাজের মেয়াদ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গত ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। উদ্বোধনের অযুহাতে তালাবদ্ধ পড়ে আছে। 

অথচ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি দেখতে আসা পর্যটকদের দিনের বেলা এসে রাতের আগেই ফেরার তাগিদে অনেক কিছু না দেখেই ফিরে যেতে হয়। শুধুমাত্র থাকবার জায়গার অভাবে দেখতে পারেন না অপার সৌন্দর্য্য। উপভোগ করতে পারেন না নৈসর্গিক রূপ। বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের প্রায় ১৭ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। যা দেখতেই পুরো দিন চলে যায়। আবার রয়েছে শত বছরের পুরনো ক্যাথলিক গীর্জা রানীখং মিশন। যার সিঁড়িতে সিঁড়িতে ইতিহাস। যেগুলো শুনতেই কেটে যাবে বেলা। রয়েছে পানিপথের জিরো পয়েন্ট। স্থলপথে ভারতের বাঘমারা সীমানা। এমন অনেক সৌন্দর্য্য ভালো করে উপভোগ করতে পারেন না জেলা সহ দেশী বিদেশী কোন পর্যটকরাই। এতে উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাটিও।
 
স্থানীয়রা বলছেন, দূরদূরান্তের পর্যটক এসে থেকে থেকে যত ঘুরবে এখানকার যানবাহন চালক থেকে শুরু করে দোকানিরা তত লাভবান হবেন। সরকার পাবে বালুর মতো রাজস্ব। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত দুইবছর ধরে তালা বদ্ধ রয়েছে নির্মিত এই বাংলোটি। যত্নের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এর ভেতরে রাখা আসবাবপত্র। 

এ বিষয়ে জানতে ফোনে না পেয়ে স্বশরীরে গিয়েও জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রকৌশলীকে অফিসে গিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে কেউ কোন তথ্য দিতেও রাজি হন নি।

তবে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব উল আহসান জানালেন, এরই মাঝে পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছেন। বন্ধ থাকার বিষয় এড়িয়ে গিয়ে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোটিও অচিরেই উদ্বোধন করে খুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর