৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:০২
মুহুরীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন

স্টেশন মাস্টার না থাকায় দুর্ভোগে যাত্রীরা

জমির বেগ, ফেনী


স্টেশন মাস্টার না থাকায়
দুর্ভোগে যাত্রীরা

ফেনীর মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশনটি ১৯৯৫ সালের ১ জুলাই খোলা হয়। চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ১৫০ কিলোমিটার মিটারগেজ লাইনে এবং লাকসাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৬৯ কি. মি. রেললাইনে জনসাধারণের জন্য খোলা হয় রেল স্টেশনটি।

শুরুর দিক থেকে এই স্টেশন ছিল সরগরম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কলকাকলিহীন হয়ে পড়ে স্টেশন। মুহুরীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের তালিকাযুক্ত ছিল সুবর্ণ এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী এক্সপ্রেস এর মতো রেলগাড়ি। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে এই রেল স্টেশন।

দীর্ঘ বিরতির পর ছাগলনাইয়াবাসীর আকুতিতে পুনরায় চালু হয় মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন। কিন্তু গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ফের বন্ধ হয়ে পড়ে এই স্টেশন। জনবল সংকট দেখিয়ে স্টেশনটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

স্টেশন বন্ধ করার ফলে ঘোপাল, শুভপুর, রাধানগর, মহামায়াসহ তথা ছাগলনাইয়া মানুষের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে যারা চাকুরীজীবী তারাই বেশি বেকায়দায় পড়েছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২টি আফ ও ৩টি ডাউন লোকাল ট্রেন থামতো। বর্তমানে দু’মাস ধরে স্টেশন মাস্টার অবসরে চলে যাওয়াতে আবার স্টেশন পুনরায় বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রতিদিন বিকাল ৫টায় লোকাল একটি ট্রেন ২ মিনিট দাঁড়ায়। যেহেতু স্টেশনের কোন কর্মকর্তা নেই তাই যাত্রী উঠানামার কোনো সুযোগ নেই।

ভুক্তভোগীদের পক্ষে মোসলেহ উদ্দিন মুসলিম বলেন, বহু কষ্টে বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু ফের স্টেশন বন্ধে যাত্রীরা হতাশ, তাছাড়া পিএসপি ও ইটভাটার শ্রমিক যারা নেত্রকোনা ময়মনসিংহ থেকে আশা যাওয়া করে তারা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। আমরা চাই পুনরায় মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন চালু হোক সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর হোক।

এ বিষয় জানতে চাইলে সাবেক স্টেশন মাস্টার মোশাররফ হোসেন জানায় জনবল সংকটের কারণে স্টেশনটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে।

ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক বলেন, গত বছর স্টেশন মাস্টার অবসরে চলে যান। ওই পদে নতুন একজন যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে যাত্রীরা।

ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, স্টেশনটি আমাদের ছাগলনাইয়াবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, স্টেশন মাস্টার না থাকাতে ছাগলনাইয়া সাড়ে তিন লাখ মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে স্টেশন মাস্টার নিয়োগ করে স্টেশনটি পুনরায় চালু করলে ছাগলনাইয়াবাসী দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর