৭ ডিসেম্বরকে নোয়াখালী হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। নোয়াখালী মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন বলেন, দিবসটি উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর মাইজদী পিটিআই সংলগ্ন মুক্ত স্কয়ারে সকাল ১১টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে র‌্যালি ও বিকাল ৩টায় বিজয় মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহত্তর নোয়াখালীর বিএলএফ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর প্রায় এক মাস ধরে নোয়াখালীকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মুক্তিকামী মানুষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পদে পদে বাধা অতিক্রম করে পাকিস্তানি সেনারা ২৩ এপ্রিল নোয়াখালী জেলা শহরে ঢুকে পড়ে।

এসময় বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করতেই সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনীর হামলায় অসংখ্য পাক সেনা ও মিলিশিয়া মারা যায়।

নোয়াখালী মুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন সি-জোন কমান্ডার মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, ৭ ডিসেম্বর ভোররাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীকে শত্রু মুক্ত করার চূড়ান্ত অপারেশন শুরু করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সব মুক্তিযোদ্ধা একযোগে চতুর্দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা সংলগ্ন টেকনিক্যাল হাইস্কুলে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্প মুক্ত করে এবং একই দিন সকাল ৯টার মধ্যে জেলা সদরের মাইজদি বাজার ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, নাহার মঞ্জিল, রৌশনবাণী সিনেমা হল, দত্তেরহাট ও সোনাপুর কোল্ড স্টোরেজের রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা