১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৪:০৩

আমিরাতে ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন আল-বিদিয়া মসজিদ

জাসেদুল ইসলাম, আরব আমিরাত

আমিরাতে ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন আল-বিদিয়া মসজিদ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম ফুজাইরা আল বিদিয়া মাটির মসজিদ। এটি অন্যতম প্রাচীন মসজিদ ও প্রাচীন স্থাপত্য। ফুজাইরা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে ওমান উপসাগরের উপকূলের আল বাইদা বা আল বিদিয়া গ্রামেই মসজিদটি অবস্থিত।

আরব বিশ্বের দেশ হওয়ার কারণে আরব আমিরাতে রয়েছে ইসলামিক ঐতিহ্য। আল বিদিয়া মসজিদের অবস্থান ফুজিরাহ শহরের দিব্বা-খোরফাক্কান সড়ক হয়ে শারম থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার ও সানদী বিচ থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দক্ষিণে আল বিদিয়া নামক স্থানে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদটি ছোট হলেও বাইর থেকে তা দেখতে খুবই চমৎকার। মসজিদের ছাদে ভিন্ন রকমের চারটি গোল গম্বুজ, ছোট মেহরাব ও একটি মিম্বার রয়েছে। মসজিদের দক্ষিণ পাশে একটি পানির কূপ আছে। পিছনে পাহাড়ের ওপর রয়েছে দুটি দুর্গ। সামনে রয়েছে প্রশস্থ সাহান বা উঠোন। সাহান বা উঠান মসজিদের প্রায় দ্বিগুণ। মসজিদের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায় কিছু সংখ্যক কুরআন কারীম রাখার ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও চারটি বাতি, দুটি এসি, মাইক, একটি দেয়ালঘড়ি ও একটি বিদ্যুৎ চালিত পাখা আছে। 

সূর্যের আলো ও বাতাস প্রবেশের জন্য রয়েছে ছোট ছোট দৃষ্টিনন্দন ছয়টি বর্গাকারের জানালা। দরজা ছাড়া মসজিদের কোথাও কাঠ ব্যবহার করা হয়নি। পাথর ও মাটির সংমিশ্রণে মসজিদটি নির্মিত। সম্পূর্ণ কাদামাটি ও পাথরের সংমিশ্রণ রয়েছে। ভেতরের দেয়ালের কারুকাজ- সব কিছুতেই রয়েছে মনোমুগ্ধকর নির্মাণশৈলী। কুরআন কারীম রাখার জন্য দেয়ালের চারপাশে বক্স করা আছে। পশ্চিম দিক থেকে বাতাস প্রবেশ করার জন্য মসজিদের মিহরাবের উপরেই রয়েছে একটি ছোট্ট বৃত্তাকারের ফটক, তাকে গর্তও বলা যায়।

এর আকর্ষণীয় স্থাপত্যশৈলী সবাইকে মুগ্ধ করে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ধনীর দেশে মাটির মসজিদ দেখতে এসেছি। শুনেছি এটি ৫০০ বছর আগের মসজিদ। পাহাড়ের টিলার ওপর অবস্থিত মসজিদটি দেখতে কিন্তু খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয়। এ মসজিদের পুরোটাই কাঁচামাটি ও পাথরের তৈরি। এটি প্রাচীন স্থাপত্য ও মনোমুগ্ধকর মসজিদ। 

এই মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত না হলেও প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লিরা। মসজিদের ভেতরে চার কাতার করে মুসল্লিরা দাঁড়াতে পারেন এবং নামাজ আদায় করতে পারেন।

মসজিদ প্রাঙ্গণ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকদের ভিড়ে ছিল মুখরিত। দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর বিকাল ৫টা পর্যন্ত এটি উন্মুুক্ত থাকে। এ ছাড়াও এখানে আসা পর্যটকরা ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে ফুজাইরাহ, খোরফাক্কান জলপ্রপাত ও কালবা বিচ।


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর