২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৫৮

প্রতিকূলতার মাঝে টিকে আছে সার্কাস

আবদুল বারী, নীলফামারী:

প্রতিকূলতার মাঝে টিকে আছে সার্কাস

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সার্কাস খেলা নানা প্রতিকূলতার মাঝে আজও টিকে আছে। কিন্তু এর সাথে জড়িতরা বঞ্চিত নানা সুযোগ সুবিধা থেকে। সম্প্রতি নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের সাইট নালা বাজারে ৭ দিনব্যাপী সার্কাসের আয়োজন করা হয়। 

অলিম্পিক সার্কাসের ম্যানেজার পঙ্কজ দাস বলেন, এক সময় বছরের ১১ মাসেই চলতো সার্কাস। তবে বর্তমানে বিভিন্ন সংকটের কারণে এখন তিন মাসও চলে না। সাকার্স আয়োজনে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, আরও নানা কারণে জনপ্রিয় এই সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলোর নিয়মিত কাযক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সাকার্স শিল্পীদের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে সরকারী সহযোগিতা পেলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সার্কাসকে টিকিয়ে রাখা যাবে।

সার্কাস শিল্পী লিজা সরকার বলেন, আমি ৭ বছর বয়স থেকে সার্কাসের সাথে জড়িত। এই কাজের উপর আমরা নির্ভরশীল। এখান থেকে আয় করে সংসার চালাই ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাই। এটা আমাদের জীবিকার একমাত্র পথ। তবে সরকারী সহযোগিতা পেলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

সার্কাস শিল্পী ইমরান সরকার বলেন, নিজেই এক সময় সার্কাসের মালিক ছিলাম। করোনার সময় অভাবের কারণে সব কিছু বিক্রি করে দিয়ে বর্তমানে পরিবার নিয়ে অন্যের দলে কাজ করছি।

সাকার্স শিল্পী বাবুল হোসেন বলেন, আমি জোকার, মানুষকে হাসাই। কিন্তু আমার ভিতরের দু:খ কেউ বুঝে না। আমরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধ মো আব্দুল গাফ্ফার বলেন, সার্কাস বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী একটি অংশ। বর্তমানে এটি হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ নজর দিলে এটি গতি পাবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর