১৫ জুন, ২০২৩ ১০:০০

বাড়ির ছাদে শাপলা ও পদ্ম ফুলের অপূর্ব মিতালি

মাহবুবুল হক পোলেন, মেহেরপুর

বাড়ির ছাদে শাপলা ও পদ্ম ফুলের অপূর্ব মিতালি

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

একটু বাতাসেই দুলে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা ও পদ্ম ফুল। বাড়ির ছাদে এ অপূর্ব মিতালি গড়ে তুলেছেন মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী শোলমারী গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা রিজন। 

শখের বসে মাত্র ২৫০ টাকায় পদ্ম ফুলের একটি চারা কিনে পরীক্ষামূলক লাগিয়েছিলেন ছাদবাগানের টবে। সেই থেকে শুরু। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে বাগানে বর্তমানে রয়েছে ৫ লাখ টাকার শাপলা ও পদ্মফুলের চারা। কৃষি অফিস বলছে, সাইফুজ্জামান রিজনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ছাদের ছোট ছোট চৌবাচ্চায় পুকুর বানিয়ে শাপলা ও পদ্মফুল ফুটিয়ে তিনি পুরো ছাদজুড়ে ছোটখাটো ফুলের রাজ্য গড়ে তুলেছেন। প্রতিদিন তার ছাদে ফুটছে বাহারি ফুল। প্রতিদিন বাড়ির ছাদে চৌবাচ্চায় ফোটা শাপলা ও পদ্ম দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। কেউ কেউ আবার আসছেন ছাদবাগান করার পরামর্শ নিতেও। 

ছাদবাগানে ও বাড়ির উঠানে রয়েছে জেলাস টু, প্রিন্সেস টম, সিয়াম পিংক টু, মালিকান, তানজানাইট, কাওসি কাওরান, বেট্টি লও, এটর্রান্স, হেলোভোলা, পত্তুরকাসা, বুলস আইসহ ৩০ প্রজাতির শাপলা। থাম্মো, কর্ণ, লাক্সমি, রানি রেড, ইয়ালিং ইন থাউজ্যান্ড পেটাল, মৃণালিনী, এল এল স্টার, নিউ স্টার, মাইক্রোমাইন, আবরার, স্নো হোয়াইট, ইয়োলো পিওনি, বাসুকিসহ ৫০ প্রজাতির পদ্ম ফুল। 

সাইফুজ্জামান রিজন বলেন, শখের বসে  মাত্র ২৫০ টাকায় পদ্ম ফুলের একটি চারা কিনে পরীক্ষামূলক লাগিয়েছিলেন টবে। সেখান থেকেই শুরু, দুই বছরের ব্যবধানে বর্তমানে বাগানে রয়েছে পাঁচ লাখ টাকার শাপলা ও পদ্মফুলের চারা। 
সাইফুজ্জামান রিজনের বোন সখিয়া তাসনীম বলেন, দুই বছর ধরে ভাইয়া শাপলা ও পদ্মফুল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যখন প্রথম কাজ শুরু করেন তখন আমরা অবহেলা করেছি। 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ছাদবাগানে শাপলা ও পদ্মফুল জন্মানো একদিকে যেমন এই ফুলকে বিলুপ্তির পথ থেকে রক্ষা করবে অন্যদিকে তরুণ উদ্যোক্তা ও নার্সারিতে এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন তরুণরা। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর