১৬ জুলাই, ২০২৩ ১৬:৪৩

জাদুঘরে হস্তান্তর হচ্ছে কাঙ্গাল হরিনাথের সেই এমএন প্রেস

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

জাদুঘরে হস্তান্তর হচ্ছে কাঙ্গাল হরিনাথের সেই এমএন প্রেস

গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এম এন প্রেসটি জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর চুক্তিতে স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। এ স্বত্ত্ব হস্তান্তর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী শ্রীমতি গীতা মজুমদার। আর জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

চুক্তিপত্রে ১ নাম্বার সাক্ষীর সাক্ষর‌ করেন কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার এবং দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেন সাংবাদিক কে এম আর শাহীন। প্রেসটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতিজাদুঘরে নিয়ে আসা হবে।

রবিবার (১৬ জুলাই) মুঠোফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। তিনি জানান, শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের নব নির্মিত বোর্ড সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি আরো জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসটি জাদুঘরে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু বিনিময়ের বিষয়টি তিনি পরিবার থেকে জেনে নেওয়া কথা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার জানান, ২০ লাখ টাকার চেক ও পরিবারের দুই সদস্যের চাকুরি দেওয়ার শর্তে তার মা প্রেসটি হস্তান্তরের চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেছেন। চেকটি তারা হাতে পেয়েছেন। এই বিনিময়ে তিনি খুব খুশি।

জানতে চাইলে চুক্তিনামার দ্বিতীয় স্বাক্ষী সাংবাদিক কে এম আর শাহীন বলেন, দু'পক্ষের সমন্বয়হীনতার অভাবে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ২০ লাখ টাকা ও বংশধরদের দুইজনের চাকুরির বিনিময়ে ঐতিহাসিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে পেরে তিনি গর্বিত। 

কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালে স্মৃতিজাদুঘরটি চালু হলেও প্রেসটি এখনো কাঙ্গাল হরিনাথের বাস্তুভিটায়। দর্শনার্থীরা এসেই আগে প্রেসটি দেখতে চান। নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কয়েকটি শর্তে ঐতিহাসিক স্বত্ত্বটি হস্তান্তর করছেন বংশধরেরা। অচিরেই জাদুঘরে দর্শনার্থীরা প্রেসটি দেখতে পাবেন। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর