৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:৪১

মিষ্টি পানের রাজ্যে হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘পান ভাস্কর্য’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিষ্টি পানের রাজ্যে হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘পান ভাস্কর্য’

মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী জেটি নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পান ভাস্কর্য। যে ভাস্কর্যটি ঘিরে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ-রুটে যাতায়াতকারী যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য থাকছে নানা সুবিধাও। যেখানে ভাস্কর্য ঘিরে তৈরি হওয়া স্থাপনায় থাকছে পাবলিক সিটিং, নামাজের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, রেস্টুরেন্ট ও শপিং করার ব্যবস্থা। মে মাসের শুরুতে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটি যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে বাস্তবায়নকারি সংস্থা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী। এই দ্বীপের সঙ্গে সহজ যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে নৌ-রুট। প্রতিদিনই এই নৌ-রুটে যাতায়াত করে হাজার হাজার যাত্রী। আবার পর্যটন মৌসুমে এই নৌ-রুটে পর্যটকদের যাতায়াতও বেড়ে যায় বহুগুণে। কিন্তু এই নৌ-রুটে মহেশখালী জেটিতে প্রতিদিনই যাত্রী কিংবা পর্যটকদের পড়তে চরম ভোগান্তিতে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ রোগী, বয়স্ক নারী-পুরুষ কিংবা ছোট শিশুকে উঠতে হয় স্পিড বোট বা ট্রলারে। জেটিতে নেই কোন ধরণের বসার ব্যবস্থা ও পাবলিক টয়লেট।

রশিদ নামের এক যাত্রী বলেন, পর্যটন মৌসুমে হাজার হাজার মানুষ মহেশখালী আদিনাথ মন্দির দেখার জন্য আসে। কিন্তু জেটিতে যখন স্পিড বোট কিংবা ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তখন বসার কোন স্থান থাকে না। তীব্র রোদের মধ্যে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আরেক যাত্রী ইলিয়াছ বলেন, মহেশখালী জেটিটি ১ কিলোমিটার হবে। কিন্তু এই জেটিতে একটি পাবলিক টয়লেটও নেই এবং নামাজ পড়ার কোন স্থানও নেই।

হুমায়ুন কবির নামের এক পর্যটক বলেন, জেটিতে অনেক ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। বসার কোন স্থানও নেই। এভাবে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে খুবই কষ্ট হয়।

এদিকে অবশেষে বিষয়টি নজরে এসেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। তাই যাত্রী কিংবা পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘবে মহেশখালী জেটিতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পান ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকছে পাবলিক সিটিং, নামাজের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটকদের শপিং করার ব্যবস্থা।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, মহেশখালী জেটিতে যাত্রী কিংবা পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে বসার স্থান, বিশ্রামের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, রেষ্টুরেন্ট, নামাজের স্থান ও কেনাকাটার ব্যবস্থা থাকবে। এটি দৃষ্টিনন্দন করার মাধ্যমে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বাড়বে, ঠিক তেমনি পর্যটক কিংবা যাত্রী আর দূর্ভোগ পোহাতে হবে না।
 
কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার আরও বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পর পানের ভাস্কর্য দিয়ে উন্নয়নের যাত্রা শুরু হলো। এই ভাস্কর্যের নির্মাণকাজ শেষ হলে পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। মহেশখালী জেটিতে নানা সুযোগ-সুবিধাসহ পান ভাস্কর্য নির্মাণ প্রকল্পটি এক কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি জানান।

কক্সবাজার উন্নয়নক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানিয়েছেন, এক কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির মেয়াদ কাল ১ বছর। ১ মে থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ ৩০ শতাংশ এগিয়েছে। এইচএ এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের আগে এটা শেষ করা সম্ভব হবে।
 
আর স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এরই অংশ হিসেবে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে সিঙ্গাপুরের আদলে রূপ দিতে চায় সরকার। বর্তমানে মহেশখালী জেটিটি জরাজীর্ণ। তাই ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন জেটি নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর