রংপুরসহ আশপাশ এলাকায় শীতের অনুষঙ্গ খেজুরের রস বিক্রি শুরু হয়েছে। গাছ থেকে মাটির হাড়িতে রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকেই।
শনিবার সকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে খেজুরের রস বিক্রেতা নওশাদ মিয়ার সাথে কথা হয়। তার বাড়ি হারাগাছের মৌভাষা এলাকায়। প্রতিবছর এই মৌসুমে তিনি খেজুরের রস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্য সময় ক্ষেতে খামারে কাজ করে সংসার চালান।
তিনি বলেন, দুই মাসের জন্য কয়েকটি গাছ কিনেছি। প্রতিটি গাছের দাম পড়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। গাছ থেকে একদিন পরপর রস সংগ্রহ করি। প্রতিদিন ৫ লিটারের মত রস সংগ্রহ হয়। প্রতি গ্লাস রস ১০ টাকা করে বিক্রি করছি।নওশাদ মিয়ার মত এখন অনেকেই খেজুরের রস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রকৃতি বিষয়ক লেখক কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, এই অঞ্চলে আশ্বিন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়। তবে ঠান্ডা আবহাওয়া, মেঘলা আকাশ ও কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল পর্যাপ্ত রসের জন্য উপযোগী। পৌষ-মাঘ মাসে সব চেয়ে বেশি রস পাওয়া যায়। গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে খেজুর গাছের মাথার অংশকে ভালো করে পরিষ্কার করা হয়। এরপর পরিষ্কার সাদা অংশ কেটে বিশেষ কায়দায় ছোট-বড় কলসিতে রস সংগ্রহ করা হয়।
তিনি বলেন, খেজুর শুষ্ক ও মরু অঞ্চলের উদ্ভিদ। আমাদের দেশে খেজুর গাছে উৎকৃষ্ট খেজুর হয় না। তাই আমাদের দেশের মানুষ এই খেজুরকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন না। তবে এই গাছের রস সুস্বাদু।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল