৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:০৩

লাজুক সাদা ভ্রু খঞ্জন পাখির অস্তিত্ব বিপন্নের পথে

নজরুল মৃধা, রংপুর

লাজুক সাদা ভ্রু খঞ্জন পাখির অস্তিত্ব বিপন্নের পথে

ভীষণ চঞ্চল ও লাজুক প্রকৃতির এই পাখিকে সাদা ভ্রু খঞ্জন, ধলাভ্রু খঞ্জন, পাকাড়া খঞ্জন ইত্যাদি নামে ডাকা হয়ে থাকে। এক সময় লোকালয়ে থাকত বলে আবাসিক সাদা ভ্রু খঞ্জন নামেও ডাকা হতো। বর্তমানে এই পাখিটিও বিপন্নের তালিকায় রয়েছে। এর দেখা মেলা ভার। 

সাদা ভ্রু খঞ্জন সম্পর্কে জানা গেছে, এটি একটি মাঝারি আকারের পাখি। এদের দেহের উপরের দিক কালো, আর পেটের দিকটা সাদা। চোখের উপরে ভ্রুর স্থানটি সাদা। কাঁধে সাদা ডোরা রয়েছে, আর লেজের বাইরের দিকের পালকগুলোও সাদা। লম্বায় প্রায় ২১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গড়নে দিক দিয়ে পাখিটি বেশ হালকা-পাতলা। এর মাথা এবং বুক লম্বাটে, সাথে আছে বৃহৎ সাদা ডানা। কিশোর বয়সে স্ত্রী পাখিরা বাদামি-ছাই রঙের হলেও প্রাপ্তবয়স্ক হলে রঙ পাল্টিয়ে কালো রঙ হয়ে থাকে। এই পাখি নদী, বড় পুকুর এবং  জলাশয়ের কাছাকাছি কোনো স্থানে থাকতে পছন্দ করলেও এক সময় শহরেও এদের দেখা যেত। কিন্তু এখন শহর অথবা গ্রামের কোথাও এদের দেখা মেলা ভার। 

জানা গেছে, বাংলাদেশে এক সময় পাঁচ প্রজাতির খঞ্জন পাখি দেখা যেত। পাঁচ প্রজাতির মধ্যে চার প্রজাতির খঞ্জন শীতে আনাগোনা বেশি থাকে। দেশে সাদা ভ্রু খঞ্জন সংখ্যায় একে বারেই কম। এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে মানুষের অবাধ চলাফেরা, বাসার জন্য নিরাপদ স্থান না পাওয়া, জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানা কারণে এই পাখিটি হারিয়ে যেতে বসেছে। 

গত বৃহস্পতিবার এই পাখিটির ছবি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে তুলেছেন প্রকৃতি ও ইতিহাস বিষয়ক লেখক ও সৌখিন আলোকচিত্রী রানা মাসুদ। 

তিনি বলেন, রংপুর শহর থেকে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার দূরে মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ধ মৃত ভেলুয়া নদী এলাকা থেকে এই দুলর্ভ পাখির ছবিটি তুলেছি। বিরল প্রজাতির আবাসিক সাদা-ভ্রু-খঞ্জন পাখিটি ভীষণ লাজুক ও চঞ্চল। বর্তমানে এই প্রজাতির পাখিটি বিপন্নের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর