৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:২২

মিশ্র ফল বাগান করে তাক লাগালেন মামুন

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

মিশ্র ফল বাগান করে তাক লাগালেন মামুন

ফলের বাগানে প্রবেশ করে দেখা যাবে কোনো গাছে মাল্টা, কোনো গাছে কমলা, কোনো গাছে লেবু না হয় অন্য ফল।

দিনাজপুরে একই জমিতে বিভিন্ন ফলের চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়ে সাড়া ফেলেছেন যুবক আব্দুল্লাহ আল মামুন। পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে এই ব্যতিক্রমী ফলের বাগান করে লাভবান হয়েছেন তিনি। এই মিশ্র ফল বাগান করার পরে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাগান থেকে তিনি এখন বছরে আয় করছেন ৩ লাখ টাকা। আবার এখানে কয়েকজনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। এখন তাকে অনুকরণ করে অনেকেই এইসব ফলের চাষে এগিয়ে আসছে। 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউপির ছিটভগীর পাড়া গ্রামের শিক্ষিত তরুণ যুবক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজ এলাকায় এক ব্যতিক্রমী ফল বাগান করে সবাইতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে ২০২০ সালের মে মাসে ৪২ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৬৭ শতক জমিতে চাষ শুরু করেন মাল্টা, কমলা, আপেল কুল, লেবু, সুপারি চাষ। বর্তমানে তার এই মিশ্র ফল বাগানে বারি-১ জাতের মাল্টা ১৪০টি, দার্জিলিং মেন্ডারিং কমলা ১০৬টি, বলসুন্দরী ও কাশমেরী আপেল কুল ১০০টি, সুপারি ৮৭টি, লেবু ১৫০টি গাছ রয়েছে। 

যুবক আল মামুন জানান, বাগানটি ২০২০ সালে শুরু করি। বাগান করার ১৫ মাস পরেই এই বাগানের ফল বিক্রি করে ২ লাখ টাকা আয় করি। ২০২২ সালের ভুল কীটনাশক স্প্রে আপেল কুলের ক্ষতি হয় কিন্তু অন্যান্য মাল্টা, কমলা, লেবু, সুপারি হতে কিছু আয় করি। কিন্তু ২০২৩ শুরুর দিকে এই বাগান থেকে শুধু মাল্টা বিক্রি করি এক লাখ পঁচিশ হাজার, লেবু চল্লিশ হাজার, বর্তমানে কমলা ও আপেল কুল আছে যা দাম ও বাজার ভালো থাকলে দুই লাখ টাকারও বেশি বিক্রি করতে পারব। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই বাগানে কম-বেশি তিনজন শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করে তাদের একটা কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। এখান থেকে তারা বাড়তি আয় করছে। তবে আমার মিশ্র ফল বাগান করার উদ্দেশ্য হলো এই বাগান থেকে যেন একেক সময় একেক ফল বিক্রি করা যায়। প্রায় সবসময় কোনো না ফল বিক্রি করা যাচ্ছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর