২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৪

পাহাড়ে মহাদানযজ্ঞে শেষ কঠিন চীবর উৎসব

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে মহাদানযজ্ঞে শেষ কঠিন চীবর উৎসব

পাহাড়ে মহাদানযজ্ঞে শেষ হয়েছে মাসব্যাপী চলা কঠিন চীবর উৎসব। শুক্রবার বিকালে ছিল রাঙামাটি রাজ বন বিহারের ভান্তেদের মহাদানযজ্ঞ। এ যজ্ঞকে ঘিরে ঢল নেমে লাখো মানুষের। পুণ্যার্থীর শ্রদ্ধায় সিক্ত রাঙামাটি রাজ বনবিহারের ভিক্ষু সংঘ। এ মহাপুণ্যানুষ্ঠানে সদ্ধর্মানুরাগী অগণিত পুণ্যার্থীর পাশাপাশি ঢল নামে হাজার হাজার দর্শনার্থীর। লোকারণ্যে পরিণত হয় পুরো রাঙামাটি শহর। 

সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক নারী-পুরুষের মহাসম্মিলনে পুরো বিহার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাজারও মানুষের পদাভারে রাজপথ থেকে সমগ্র রাজবন বিহার এলাকা। যেন তিল ধারণের জায়গাটুকু অবশিষ্ট ছিল না কোথাও। লাখো মানুষের কণ্ঠে সাধু, সাধু, সাধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় পুরো রাজবন বিহার। 

দুপুর আড়ায়টাই রাজবন বিহার মাঠে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।

উল্লেখ্য, গত বৃহষ্পতিবার বিকালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদেন প্রার্থনা শেষে চরকায় সুতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় এ কঠিন চীবর দানোৎসব। এ উৎসবে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদয় নয়, সব ধর্ম বর্ণের মানুষের সমাগম ঘটে। কেউ আসে উৎসবের সঙ্গি হতে। আবার কেউ আসে পুর্ণতা লাভ করতে। রাতভর চলে কাপড় বুনন, সেলাই ও রঙকরণ।  সাধারণত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা অংশ নেয় এ বস্ত্র তৈরি উৎসবে। তাদের ধর্মীয় রিতি অনুযায়ে এ উৎসবে মধ্যেদিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বস্ত্র তৈরি করে ভিক্ষুদের দান করতে পারলে মিলবে পুর্ণতা। 

ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারীদের কোমড় তাঁতে ২৪ ঘণ্টায় তৈরি বিশেষ চীবর বৌদ্ধ আর্যপুরুষ মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের প্রধান শীর্ষ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির হাতে মহাদানযজ্ঞ তুলে দেন রাঙামাটি চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। আর এরই মধ্যদিয়ে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ও চট্টগ্রামে সম্পন্ন হয় মাস ব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কঠিন চীবর দান উৎসব। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর