১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:১৬

চাহিদা থাকায় দিনাজপুরের বাজারে মৌসুমি ফলের সমাহার

দিনাজপুর প্রতিনিধি

চাহিদা থাকায় দিনাজপুরের বাজারে মৌসুমি ফলের সমাহার

স্বাস্থ্য সচেতনার কারণে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বিভিন্ন ফলের চাহিদা বেড়েছে। যেসব ফল এ অঞ্চলে হতো না সেসব ফলের চাহিদার কারণে বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুরের বিভিন্ন বাজার ছাড়াও রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্থায়ী বা অস্থায়ী এই মৌসুমের বিভিন্ন ফলের দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। শীতকালীন এসব ফলের ব্যাপক চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুন।

শীতকালীন ফলের মধ্যে প্রতি কেজি তেঁতুল-১৬০, জলপাই-২০, আমলকি-২০০, কামরাঙ্গা-১৬০, পেয়ারা-৮০ টাকা, বাতাবি লেবু ও পেঁপে আকার ভেদে প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে নানা প্রকারের মৌসুমি ফল বাজারে উঠতে থাকায় এবং অন্যান্য ফলের তুলনায় দাম কম থাকায় এসব ফল কিনতে ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ফলের দোকানে ভিড় করছেন। তাই এখন দেশি ফলের ব্যাপক সমাহার লক্ষ্যণীয়। দরিদ্রসহ সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিদেশি ফল কিনে খেতে না পারলেও তারা এখন দেশি ফল কিনে খেতে পারছেন।

এ ব্যাপারে ফল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, আমি কয়েক বছর হতে ফলের ব্যবসা করি। দেশি ফলগুলো অনেকেই নিজ প্রয়োজনে খাওয়ার জন্য বসতবাড়ির উঠানে ফল গাছ লাগিয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাদের কাছে পাইকারি হিসেবে ক্রয় করে বাজারে খুচরা বিক্রি করি। এতে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাই। এই ফলগুলো বিষমুক্ত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। 

ফল ক্রেতা আব্বাস আলী, আলী আকবর, সাকেকুল ইসলাম জানান, প্রায় কম বেশি দেশি ফল ক্রয় করি। কারণ এই ফল একবারে টাটকা ভেজাল মুক্ত, দাম কম কিন্তু অন্যান্য ফলের দাম বেশি হওয়ায় তা নিতে পারি না।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর