শিরোনাম
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:০৩

মেহগনি ফুলের মধুতে সফলতা পেয়েছেন মোসাদ্দেক

দিনাজপুর প্রতিনিধি

মেহগনি ফুলের মধুতে সফলতা পেয়েছেন মোসাদ্দেক

আধুনিকতার সঙ্গে মৌচাষেও এসেছে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা। মৌমাছিকে বাক্সে পালন করে মধু সংগ্রহ করছেন আধুনিক মৌ-খামারীরা। তেমনই একজন মৌ-পালক মোসাদ্দেক হোসেন। বছরে মধু উৎপাদন করেন প্রায় ২ টন। সরিষা, লিচু, কালোজিরা, মিষ্টি কুমড়া,বরই থেকে মধু আহরন করলেও এবার তিনি মধু উৎপাদনের জন্যে মেহগনি বাগানের পাশে বসিয়েছেন মৌ-বাক্স। 

দিনাজপুর সদরের কেবিএম মহাবিদ্যালয়ের জায়গায় বড় মেহগনির বাগান রয়েছে। এরপরেও পাশে মাশিমপুর এমনকি রাস্তার পাশেও রয়েছে অসংখ্য মেহগনি গাছ। এখন প্রতিটি মেহগনি গাছে ফুল এসেছে। অতীতে তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে বরই ফুলের মধু পেয়েছেন। তাই এবার তিনি মেহগনির ফুল থেকে মধু আহরণে বসিয়েছেন মৌ বাক্স। 

উদ্ভিদবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করা সফল মৌ-খামারী মোসাদ্দেক হোসেন জানান, মৌ-মাছি এক থেকে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়েও মধু আহরণ করে। সরিষা লিচুর মতই মৌমাছিরা মেহগনির ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সঞ্চয় করে। এখন আর লিচুর মুকুল নেই। তাই মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি এই মেহগনির ফুল থেকে মধু আহরণে বাক্স বসিয়েছি। তবে এই মধু আহরণের সময়কাল স্বল্প সময়। চলতি ১৫ এপ্রিল থেকে মাসের শেষ সময় পর্যন্ত এই মেহগনি ফুল থাকবে। এই মেহগনির ফুলের মধু আকর্ষণীয় রং এবং সুমিষ্ট হয়। এর বাজার চাহিদাও রয়েছে। মেহগনির ফুল থেকে প্রায় ৫০০ কেজি মধু প্রাপ্তির প্রত্যাশা করছি, যারা বাজার মূল্য প্রতি কেজি ৫০০ টাকা।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর