শিরোনাম
১০ মে, ২০২৪ ১৬:৩৭

হারিয়ে যাচ্ছে হাজার বেলি

নজরুল মৃধা, রংপুর

হারিয়ে যাচ্ছে হাজার বেলি

ফুলটি দেখে প্রথমে মনে হবে জংলি গোলাপ। পাতা মোটেও গোলাপের মতো নয়। অনেকটা জঙ্গলের ভাটি গাছের মতো। এ ফুলের সৌরভের সাথে বেলি বা জুঁই ফুলের বেশ মিল রয়েছে। 

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মভূমিতেই গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠান বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের অফিসের বাগানে এই ফুলটি এখন দেখা যাবে। ফুলটির নাম হাজার বেলি। এই ফুলকে রাজবেলি এবং সহস্রবেলি নামেও চেনেন অনেকে।  কারণ এক সাথে অনেকগুলো ফোটে। 

এই গাছ গুল্মের মতো স্বভাবের, তবে কিছুটা লতানো প্রকৃতির। গাছ খাড়া হয়ে উঠলে প্রায় দেড় থেকে ২ মিটার উঁচু হয়। কাণ্ড চারকোণী। আগার দিকটা রোমশ। পাতা বেশ চাওড়া ও বড়। কাণ্ড বিপরীতক্রমে সাজানো থাকে। পাতার আকৃতি প্রায় হৃৎপিণ্ডাকার, প্রায় ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৭ থেকে ১২ সেন্টিমিটার চওড়া যার কিনারা করাতের মতো খাজকাঁটা। ফুলের রঙ সাদা, ডাবল বা অনেক পাপড়ি গোলাপের মতো সাজানো, খুব হালকা গোলাপি আভাযুক্ত। ফুলে সুগন্ধ আছে। অনেক ফুল ডালের মাথায় গুচ্ছাকারে ফোটে। ফুলের বোঁটা খাটো। প্রতিটি ফুলের আকার প্রায় ২ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। 
 
বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, হাজার বেলি গাছটি খুব কষ্টসহিষ্ণু। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় গাছের আগায় পাতার মাঝখানে সাদা রঙের সুগন্ধি বড় একথোকা ডাবল ফুল হয়। ছায়াচ্ছন্ন আর্দ্র জায়গা পছন্দ করে, তবে খরাও সইতে পারে। শিকড় থেকে গজানো চারা এবং শাখা কলমের দ্বারা বংশবিস্তার হয়। হাজার বেলির আদি নিবাস চীন দেশে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর