৫ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৫৩

বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য পাহাড়ি ঝর্ণা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য পাহাড়ি ঝর্ণা

বর্ষায় রূপ বদলেছে পাহাড়ি ঝর্ণার। নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নানা বৈচিত্র্যতায় ভরপুর ঝর্ণার চারপাশ। সবুজের বুক চিরে অবিরাম ঝড়ছে জলধারা। মিশে যাচ্ছে হ্রদ পাহাড়ের বুকে। ঝর্ণার শুষ্ক জলকণাগুলো নীল আকাশে তৈরি করছে শুভ্র সদা মেঘের ভেলা। এমন হৃদয় নিংড়ানো সৌন্দর্য আর বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য শুধু রাঙামাটিতেই দৃশমান। তাই এ ঝর্ণার টানে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে হাজারো দেশি বিদেশি পর্যটক। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়ন। এখানে আছে প্রায় শতাধিক পাহাড়ি ঝর্ণা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝর্ণাটির উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট। তাই বেশি আকর্ষনীয় ও পরিচিত পর্যটকদের কাছে। পর্যটক আনাগোনা বেশি থাকায় এ ঝর্ণার নাম করণ করা হয় ‘গিরি নির্ঝর’ ঝর্ণা হিসেবে। এ ঝর্ণার জলধারার নিক্কন ধ্বনিসহ অপরূপ দৃশ্য না দেখলে কল্পনায়ও সে ছবি আঁকা অসম্ভব। ঝর্ণার জলরাশি সাঁই সাঁই করে ধেয়ে চলে ঝিরি আর কাপ্তাই হ্রদ প্রান্তে। বহু আগেই এ ঝর্ণা দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতির বিস্তৃৃতি ঘটেছে।

সুবলং ঝর্ণায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটক মামুন রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে আমরা বন্ধ-বন্ধব প্রায় ছুটে আসি এ ঝর্ণার টানে। ঝর্ণার পানিতে গা ভিজালে সত্যি সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। 

একই কথা জানালেন আরেক পর্যটক জিন্নাত সুলতানা। তিনি বলেন, আমি রাঙামাটির প্রকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করতে পাহাড়ে এসেছিলাম। কিন্তু ঝর্ণায় এসে মনে হলো এ যেন রূপ বৈচিত্রের ভান্ডার, এখানে কি নেই। হ্রদ পাহাড় ঝর্ণার মিলন মেলা এখানে সত্যি অসাধারণ। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে সুবলং ঝর্ণায় আসতে হাঁটাতে হয় না। স্পিট বোট থেকে নেমেই ঝর্ণায় আসা যায়। তাই কান্তিও লাগে না। 

রাঙামাটি নৌযান ঘাটের চালক শামীম আহমেদ বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ঝর্ণার জলধারা শুকিয়ে গেলেও বর্ষা নিজ রূপবৈচিত্র্যে ফিরে আসে গিরি নির্ঝর। বর্তমানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সেই অপরূপ দৃশ্য বজায় রয়েছে। যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটক ও স্থানীয়রা ছুটছেন প্রতিদিন। তাই বোর্ট ভাড়া হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে।

রাঙামাটির শুভলং ঝর্ণার টিকেট বিক্রেতা রিন্টু চাকমা জানান, বর্ষা শুরু হলেই পর্যটকের ঢল নামে সুবলং ঝর্ণা স্পটে। এখন সুবলংয়ের ঝর্ণাকে ঘিরে পর্যটকের অনেক ভিড়। অনেকে পরিবার, পরিজন ও আপনজনসহ ঝর্ণা অবলোকনের জন্য আসে। তাই জমে উঠেছে ব্যবসাও।

তবে অভিযোগ রয়েছে, সুবলং ঝর্ণাটি ঘিরে পর্যটন ব্যবসা গড়ে উঠলেও সংরক্ষণ করার জন্য নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। কিংবা পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়নি বিশেষ কোনো সুব্যবস্থা। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর